ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৩:৩৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

স্ত্রী ও ভাইসহ সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের বিরুদ্ধে ৪১ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা

repoter

প্রকাশিত: ০৭:০৬:৫৮অপরাহ্ন , ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৭:০৬:৫৮অপরাহ্ন , ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

সাবেক গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার এবং তার ভাই এ বি এম শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ৪১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ অবৈধভাবে ১৭ কোটি ৫১ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং তার ভাই এ বি এম শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলাগুলোর আওতায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-এর ২৭(১) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের অবৈধ সম্পদের উৎস, সম্পদ অর্জনের প্রক্রিয়া এবং তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির সাথে অর্জিত সম্পদের অসামঞ্জস্য নিয়ে তদন্তের ভিত্তিতে মামলাগুলো করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে যে আসামিরা তাদের আর্থিক সচ্ছলতার বাইরে গিয়ে সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জিত হয়নি।

মামলাগুলোর বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, “অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক সবসময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এই মামলাগুলো তারই একটি উদাহরণ।”

এদিকে, আসামিদের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, মামলাগুলোর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে বলে জানা গেছে। দুর্নীতির এই মামলাগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মামলাগুলোর ফলাফল দেশের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

দুদক আরও জানায়, মামলার অংশ হিসেবে আসামিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। একই সঙ্গে, তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার এবং অন্যান্য অপরাধেরও তদন্ত চলছে। দেশের আইনি কাঠামোর মধ্যে দুর্নীতির দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে দুদক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

repoter