
ছবি: মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জুবায়েরপন্থীরা
গাজীপুরের শ্রীপুরে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের চলমান দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, যা যাত্রীদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উলামায়ে কেরাম ও সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে মাওলানা জুবায়ের পন্থী মুসল্লিরা মাওনা পল্লীবিদ্যুৎ মোড় এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে মাওলানা জুবায়ের পন্থী মুসল্লিরা পল্লীবিদ্যুৎ মোড় এলাকায় জমা হতে শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১০টার দিকে এক বিশাল মুসল্লির সমাগম ঘটে এবং তারা ব্যানার নিয়ে সড়কে মিছিল শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা সড়কের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে অবস্থান নেন, যা মহাসড়ক অবরোধের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মাওলানা জুবায়ের পন্থী মুসল্লিরা দাবি করেছেন যে, টঙ্গী ইজতেমা এলাকায় গত কয়েকদিন আগে মাওলানা সাদ পন্থীদের হামলায় তাদের একজন অনুসারী নিহত হয়েছেন। তারা মৃতের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে পাশাপাশি মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণারও দাবি জানিয়েছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা জাহিদুল ইসলাম বলেন, "আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাউকে টঙ্গী ইজতেমা ময়দান বা বাংলাদেশে ঢুকতে না দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। যতক্ষণ আমাদের দাবি পূর্ণ না হবে, ততক্ষণ আমাদের এই আন্দোলন চলবে।"
মাওনা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, দীর্ঘ সময় যানজট সৃষ্টি হয়েছিল মহাসড়কে। পরে থানা পুলিশসহ আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সরিয়ে দিয়েছি। এখন ধীরে ধীরে যান চলাচল শুরু হয়েছে এবং খুব শিগগিরই যানজট দূর হবে।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, "মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি এবং বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। তারা আপাতত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেছে।"
এ ঘটনার পর মহাসড়কে যান চলাচল ধীরগতিতে শুরু হলেও, পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করা সম্ভব হয়েছে।
repoter