
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধে ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সম্প্রতি সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এই তথ্য প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের শাসনামলে বন্দিশালা এবং গণকবরগুলোয় প্রবেশাধিকারের ফলে এই হতাহতের সংখ্যা নিরূপণ সহজ হয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে ৬ হাজার ৭৭৭ জন, যার অর্ধেকের বেশি সাধারণ নাগরিক। তবে বার্তা সংস্থা এএফপি স্বাধীনভাবে এই সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সূচনা হয় ২০১১ সালে, যখন গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকার কঠোর দমনপীড়ন চালায়। সংঘাতের ফলে লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে এবং সেখানে বিভিন্ন বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ দেখা গেছে।
২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। ২০২৩ সালে সংঘর্ষে ৪ হাজার ৩৬০ জন প্রাণ হারিয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৯০০ জন সাধারণ নাগরিক। ২০২৪ সালে নিহতদের মধ্যে ৩ হাজার ৫৯৮ জন সাধারণ নাগরিক, যার মধ্যে ২৪০ জন নারী এবং ৩৩৭ জন শিশু।
এছাড়া ৩ হাজার ১৭৯ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে পূর্ববর্তী শাসনকালের সৈন্য, ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং চরমপন্থীরাও রয়েছেন।
সিরিয়ায় চলমান এই গৃহযুদ্ধ কেবল প্রাণহানি নয়, দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, এবং অর্থনৈতিক কাঠামোও ধ্বংস করে দিয়েছে। সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী উদ্বাস্তু সংকট তীব্রতর হয়েছে এবং মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা অতিক্রম করেছে।
repoter