ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৩:৫১ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড, শাহবাগে ছত্রভঙ্গ

repoter

প্রকাশিত: ০২:৫৩:৪৩অপরাহ্ন , ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০২:৫৩:৪৩অপরাহ্ন , ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে, দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকরা শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন। আন্দোলনের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে। পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দও শোনা যায়।

আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পৌনে ২টার দিকে সীমিত পরিসরে যান চলাচল শুরু হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের দাবিতে অবস্থান নিয়েছিলেন।

এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

এর আগে, ১৯ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ায় আদালত এই আদেশ দেন। গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়, যেখানে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়।

গত ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে হাইকোর্টের দেওয়া এই স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। তবে এই নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে আদালত তা অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন।

শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে একাধিকবার আইনি জটিলতার সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ পাচ্ছেন না, যা তাদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে, সরকার ও প্রশাসন বলছে, আইনানুগ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব তাদের এবং আদালতের নির্দেশনা অনুসারে তারা কাজ করছেন।

নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

repoter