
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের পরিমাণ ক্রমাগত কমে যাচ্ছে, যা রবিবার এসে নেমেছে চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এদিন লেনদেন হয় মাত্র ২৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার, যা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর একক কার্যদিবসে সবচেয়ে কম।
গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঠিক আগে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২০৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা ছিল আরও কম। তবে এরপর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করলে কিছুটা উত্থান দেখা গেলেও তা স্থায়ী হয়নি। ৮ আগস্টের পর থেকে বাজারে পুনরায় দরপতনের ধারা শুরু হয়, যা এখনো অব্যাহত।
রবিবারের লেনদেন শুরু থেকেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৮১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০৮ পয়েন্টে, এবং ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
লেনদেন কমার দিনে ডিএসইতে ৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়লেও, ২৪৮টির দাম কমেছে এবং ৬০টির অপরিবর্তিত রয়েছে। টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারে, যার পরিমাণ ৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালসের শেয়ার লেনদেন হয় ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার, এবং তৃতীয় স্থানে থাকা এনআরবি ব্যাংকের লেনদেন হয় ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার।
লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষে থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস, আইসিবি, গোল্ডেন সন, ফাইন ফুড, লাভেলো আইসক্রিম, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, এবং ড্রাগন সোয়েটার।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৪২ পয়েন্ট কমে গেছে। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৭৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬টির দাম বেড়েছে, ১০৩টির দাম কমেছে এবং ২৬টির অপরিবর্তিত রয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এদিন লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা সংকটই বাজারে লেনদেন কমার মূল কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
repoter