
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকারের কাছে গ্যাস সরবরাহ বাবদ ৩৭০ মিলিয়ন ডলার পাওনা পরিশোধের জন্য তাগাদা দিয়েছে মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেভরন এবং কাতারের গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কাতার গ্যাস।
জ্বালানি বিভাগে পাঠানো আলাদা চিঠিতে দুটি প্রতিষ্ঠান তাদের পাওনা দ্রুত পরিশোধের অনুরোধ জানিয়েছে। শেভরন তাদের পাওনার পরিমাণ উল্লেখ করেছে ২২০ মিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ১৭৫ মিলিয়ন ডলার গ্যাস বিক্রির মূলধন এবং ৪৫ মিলিয়ন ডলার ভ্যাট ও সুদ হিসেবে জমা হয়েছে। অপরদিকে, কাতার গ্যাস তাদের চিঠিতে ১৫০ মিলিয়ন ডলার পাওনার কথা জানিয়েছে।
জ্বালানি বিভাগ এবং পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, কাতার গ্যাসের পাওনা অর্থ পরিশোধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কারণ এটি সময়মতো না হলে সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
শেভরনের পক্ষে বাংলাদেশে তাদের প্রেসিডেন্ট এবং এমডি এরিক এম ওয়াকার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে অন্তত ৭৫ মিলিয়ন ডলার অতি দ্রুত পরিশোধ করা প্রয়োজন। শেভরনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বিল বকেয়া থাকায় তারা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে।
শেভরন বর্তমানে দেশের গ্যাস সরবরাহের ৬০ শতাংশ জোগান দিয়ে থাকে। কোম্পানিটি বিবিয়ানা, জালালাবাদ এবং মৌলভীবাজার গ্যাসফিল্ড পরিচালনা করছে, যার মধ্যে বিবিয়ানা থেকে সবচেয়ে বেশি গ্যাস উত্তোলন হয়। পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, শেভরনের কাছ থেকে প্রতি মাসে গ্যাস সরবরাহ বাবদ প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলারের বিল আসে। তবে কয়েক মাস ধরে বিল বকেয়া পড়েছে।
অন্যদিকে, কাতার গ্যাসের এলএনজি সরবরাহ নিয়ে জিটুজি চুক্তি রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এই চুক্তির আওতায় প্রতি বছর প্রায় ৪০টি কার্গো এলএনজি সরবরাহ করে আসছে কাতার গ্যাস। চলতি অর্থবছরের অর্ধেক এলএনজি সরবরাহ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
পেট্রোবাংলার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শেভরনের এবং কাতার গ্যাসের পাওনা অর্থ দ্রুত পরিশোধে চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সম্পূর্ণ অর্থ একবারে পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তবুও, জরুরি ভিত্তিতে কিছু অর্থ পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এলএনজি এবং গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে, জ্বালানি বিভাগ এবং পেট্রোবাংলা উভয়ই বকেয়া পরিশোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
repoter