
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলে বেলাব থানা সমিতি আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
এদিকে, ৩ জানুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জানান, প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক নোট পেয়েছেন। তবে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আগেই নিশ্চিত করা হয়েছে এবং নোট পেলে তা নিয়ে আরও কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এই বক্তব্যের পর গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ সম্পর্কিত বাংলাদেশের দাবি বিধিসম্মত নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই দাবি গ্রাহ্য করার জন্য কিছু বাধা রয়েছে, যা চুক্তির শর্তের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের সরকার ২৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে কূটনৈতিক নোট পাঠিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত চেয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই দাবি উত্থাপিত হওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওই প্রতিবেদনে কোনো মন্তব্য করেননি।
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে, গণঅভ্যুত্থানের পর ৫ আগস্ট তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং সেদিনই দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা এবং গণহত্যার মামলা রয়েছে।
ভারতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বাড়লেও তার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে এখনও সময় লাগবে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তার ফেরত চাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, যা পরবর্তীতে ভারতের সরকারের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে।
repoter