
ছবি: শেখ হাসিনা - ছবি : ইউএনবি
জাতীয় অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই বিচারপতি সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এই আদেশ প্রদান করেন।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ডিসেম্বর এই আদেশ দেওয়া হয়, যা ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রচারে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নির্দেশিত করেছে।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম ট্রাইব্যুনালে বলেছেন, শেখ হাসিনা পলাতক অবস্থায় বিদেশে বসে বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, যা তদন্ত কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এবং মামলা সংক্রান্ত ভিকটিম ও সাক্ষীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করছে।
এ সময় প্রসিকিউটর তামিম দুটি বক্তব্য উল্লেখ করেন, যেখানে শেখ হাসিনা এমন বক্তব্য দিয়েছেন যা আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একটি বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, "এখন যারা বেশি বাড়াবাড়ি করছে তারা ভালো থাকবে না। ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখ। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।" এছাড়াও, তিনি বলেন, "২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি।"
এই বক্তব্যগুলো আন্তর্জাতিক আইন এবং ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিপরীতে উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এসব বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। একই সঙ্গে বিটিআরসিকে (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, শেখ হাসিনার এসব বক্তব্য দেশের সকল গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে তদন্ত চলছে। ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
repoter