
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
দিনাজপুরে শীতের প্রকোপ দিন দিন বেড়ে চলেছে। তীব্র ঠান্ডা হাওয়া এবং ঘন কুয়াশার কারণে পুরো জেলা জুড়ে শীতের দাপট অনুভূত হচ্ছে। হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান এবং সাম্প্রতিক আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে জেলার মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ এই প্রতিকূল পরিবেশে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে চারপাশে এক ধরনের হিমশীতল পরিবেশ বিরাজ করে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমে যায় এবং পুরো জেলা ঢেকে থাকে ঘন কুয়াশায়। এর সঙ্গে সন্ধ্যার পর থেকেই হিমেল বাতাস শুরু হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হয়।
দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ছিন্নমূল এবং দিনমজুর মানুষেরা এই তীব্র ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে দিন পার করছেন। কেউ কেউ উন্মুক্ত জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে সাময়িক পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। শীতের প্রকোপ সত্ত্বেও জীবিকার তাগিদে মানুষ কাজে বের হচ্ছেন। ঠান্ডার কারণে কৃষি ও শ্রমজীবী মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে ব্যাপক ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, এদিন সকাল ছয়টায় জেলার তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি বছরের এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন। তিনি আরও জানান, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।
তাপমাত্রার এই নিম্নগতি এবং ক্রমাগত ঠান্ডা বাতাস দিনাজপুরের মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের শীতবস্ত্রের অভাব এবং উপযুক্ত আশ্রয়ের অভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শীতের প্রকোপের এই সময়টিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। শীতবস্ত্র বিতরণ এবং প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করে এই সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
repoter