ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০২:০৮ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

শব্দের চেয়ে চার গুণ গতির ড্রোন তৈরির পথে চীন

repoter

প্রকাশিত: ০৬:০৯:০৬অপরাহ্ন , ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৬:০৯:০৬অপরাহ্ন , ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের দ্রুততম ড্রোন তৈরির পথে নতুন অগ্রগতির কথা জানিয়েছে চীনের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। চীনের লিংকং তিয়ানশিং টেকনোলজি একটি সুপারসনিক ড্রোন তৈরি করছে, যা শব্দের চেয়ে চার গুণ বেশি গতিতে উড়তে সক্ষম হবে। ড্রোনটির নাম দেওয়া হয়েছে “কুয়ানতিয়ানহৌ” বা “সোরিং স্টোন মানকি।”

প্রতিষ্ঠানটি চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রকল্পের ঘোষণা দেয়। চীনের গণমাধ্যম জানিয়েছে, লিংকং তিয়ানশিং সামরিক হাইপারসনিক প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহারের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রকল্পটি দ্রুত এগিয়ে চলেছে এবং আগামী বছরই এই ড্রোনের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হতে পারে। এর আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রোটোটাইপ বাণিজ্যিক প্লেন পরীক্ষা করেছিল, যা কনকর্ডের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ গতিতে চলতে সক্ষম।

কনকর্ড এখন পর্যন্ত ইতিহাসের দ্রুততম যাত্রীবাহী বিমান হিসেবে পরিচিত। এটি নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনের ৫,৫০০ কিলোমিটার পথ মাত্র ২ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটে অতিক্রম করেছিল, যেখানে বোয়িং ৭৪৭-কে একই পথ পাড়ি দিতে প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে লিংকং তিয়ানশিংয়ের ড্রোন শব্দের চেয়ে চারগুণ বেশি গতিতে চলতে সক্ষম হবে।

দক্ষিণ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড্রোনটির ওজন হবে দেড় টন এবং এর দৈর্ঘ্য ৭ মিটার। এতে শক্তি সরবরাহের জন্য দুটি ডেটোনেশন ইঞ্জিন থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ড্রোনটির প্রোটোটাইপ পরীক্ষামূলকভাবে উড্ডয়ন শুরু করবে।

সুপারসনিক প্রযুক্তি মূলত সামরিক ব্যবহারের জন্য তৈরি হলেও চীন এটি বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহার করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও এই প্রযুক্তিতে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন বিমান তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে। অন্যদিকে, সুইস প্রযুক্তি নির্মাতারা জ্বালানিস্বরূপ হাইড্রোজেন ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।

যদিও বিভিন্ন দেশ বছরের পর বছর গবেষণা ও পরীক্ষা চালিয়ে এই প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপযোগী করতে পারেনি, তবু চীন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। লিংকং তিয়ানশিংয়ের এই প্রকল্প চীনের সুপারসনিক প্রযুক্তিতে অগ্রগতির একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে উঠে এসেছে।

repoter