
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবিতে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা। আগামী বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন থেকে ফিরে মাহিন সরকার এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, "রাতে আমরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। যদি ন্যায়বিচারের আভাস না পাই, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আবার শাহবাগ ব্লকেড করা হবে। আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।"
বিডিআর ৪৬ ব্যাচের সদস্য কে এ রাজ্জাক জানান, "আমরা রাতেও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। ন্যায়বিচারের আভাস পাওয়ার জন্য আগামীকাল সকাল ১১টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে অপেক্ষা করবো। যদি ন্যায়বিচারের কোনো ইঙ্গিত না পাই, তাহলে আমরা শাহবাগ ব্লকেড করবো।"
এদিকে, বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় সবার জামিন দেওয়া সহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তির আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য এবং কারাগারে থাকা সদস্যদের স্বজনরা এই আলটিমেটাম দেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে "সেনা হত্যা দিবস" হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন চাকরিচ্যুত ও কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের স্বজনরা। তারা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত করারও কথা জানান।
এছাড়া, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিরপরাধদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে যমুনা নদীর দিকে পদযাত্রা শুরু করা হয়, কিন্তু শাহবাগে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। পরে, সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা কর্মসূচি পালন করেন। ভোরের আগেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পূর্ণ হয়ে যায়।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল এবং কারাগারে থাকা সদস্যদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনও আয়োজন করা হয়। এই মানববন্ধনে সাবেক বিডিআর সদস্যদের পাশাপাশি কারাগারে থাকা সদস্যদের পরিবারের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন।
২০০৯ সালে বিডিআর সদর দফতরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরও ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়, তবে ২৮৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
repoter