ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:১৭ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

সাফজয়ী তিন পাহাড়ি কন্যাকে রাঙামাটিতে রাজকীয় সংবর্ধনা

repoter

প্রকাশিত: ০৬:৩৯:৩৭অপরাহ্ন , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৬:৩৯:৩৭অপরাহ্ন , ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রাঙামাটিতে রাজকীয় সংবর্ধনায় সিক্ত সাফজয়ী ৩ পাহাড়ি কন্যা। ছবি : কালবেলা

ছবি: রাঙামাটিতে রাজকীয় সংবর্ধনায় সিক্ত সাফজয়ী ৩ পাহাড়ি কন্যা। ছবি : কালবেলা

রাঙামাটিতে রাজকীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধিত হলেন সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন রূপনা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাঙামাটি মারি স্টেডিয়ামে এই সংবর্ধনার আয়োজন করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। রাঙামাটি রিজিয়ন, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় দিনটি উদযাপিত হয়।

সংবর্ধনার শুরুতে ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে ফুলে সজ্জিত খোলা ট্রাকে তিন ফুটবল তারকা তাদের যাত্রা শুরু করেন। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ ধরে রাঙামাটিতে পৌঁছানো পর্যন্ত পাশে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ হাত নাড়িয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান। তিন খেলোয়াড় তাদের শৈশবের কোচদের সঙ্গে অভিনন্দন গ্রহণ করেন।

খেলোয়াড়দের দাবি, ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় সরকারীকরণ করা হোক। একইসঙ্গে রূপনা চাকমা তার বাড়িতে একটি সেতু, ঋতুপর্ণা চাকমা তার বাড়ি ও রাস্তার উন্নয়ন এবং মনিকা চাকমা তার গ্রামে বিদ্যুৎ ও সড়ক নির্মাণের দাবি জানান।

মারী স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর পর তাদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা স্মারক এবং প্রত্যেককে নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে ফিফা নারী রেফারি জয়া চাকমা এবং কোচসহ আরও সাতজনকে সংবর্ধিত করা হয়।

রাঙামাটি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শওকত ওসমান বলেন, "এই ফুটবলাররা রাঙামাটির গর্ব। শান্তি বজায় থাকলে আরও প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসবে।" জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান আশ্বাস দেন, ফুটবলারদের সমস্যাগুলোর সমাধানে প্রশাসন কাজ করবে এবং বিষয়গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা আশা প্রকাশ করেন, এ অর্জন রাঙামাটির জন্য ধারাবাহিকভাবে গর্বের কারণ হয়ে থাকবে।

repoter