ঢাকা,  শনিবার
১৯ এপ্রিল ২০২৫ , ০৬:০১ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত * বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বৈঠক: ১৫ বছর পর পুনঃশুরু সম্পর্কের নতুন দিগন্ত * তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ ফুলবাড়ীতে, ভোগান্তিতে সাধারণ ক্রেতারা * আওয়ামী লীগের মতো দলে সাকিবের যোগ দেওয়া ঠিক হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব * রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রধান বাধা আরাকান আর্মি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা * বিডিআর হত্যাকাণ্ড: তদন্তে সহায়তা চেয়ে জাতীয় স্বাধীন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি * ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে কঠিন হবে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য * আলোচনায় অসন্তুষ্ট কারিগরি শিক্ষার্থীরা, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা * চীন থেকে অর্থ আনার অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে এনবিআরের দুই কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে * ঢাকার চারপাশে গড়ে উঠছে ব্লু নেটওয়ার্ক: পানি সম্পদ উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রধান বাধা আরাকান আর্মি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

repoter

প্রকাশিত: ০৬:৫৬:২২অপরাহ্ন , ১৮ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ০৬:৫৬:২২অপরাহ্ন , ১৮ এপ্রিল ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশ একটি উভয় সংকটে রয়েছে এবং এ সংকটের অন্যতম বড় প্রতিবন্ধকতা হলো মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন এমন একটি অবস্থায় রয়েছে, যেখানে একদিকে আরাকান আর্মির উপস্থিতি সমস্যা সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে এই গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি সংলাপ করাও সম্ভব হচ্ছে না। আবার তাদেরকে উপেক্ষাও করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে তিনি মনে করেন, জাতীয় স্বার্থে অরাষ্ট্র কোনো সংস্থার সঙ্গেও আলোচনা করতে হতে পারে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, কূটনীতিকদের দায়িত্ব হবে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সমস্যাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া। দূতাবাসগুলো সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করলেও প্রবাসীদের তাৎক্ষণিক ও কার্যকর সেবা দিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রবাসীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় কর্মসংস্থানের প্রক্রিয়ায়, যেখানে দেশের ভেতর থেকেই ৮০ ভাগ সমস্যা তৈরি হয়। এসব সমস্যা দূর করা গেলে দূতাবাসগুলোকে অনেকাংশে চাপমুক্ত করা যাবে এবং প্রবাসীরাও বিদেশে গিয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, দেশের অভ্যন্তরে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা নিশ্চিত করে কর্মীদের বিদেশে পাঠানো হলে কর্মসংস্থানে জটিলতা কমবে, প্রবাসী কল্যাণ নিশ্চিত হবে এবং বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের প্রতি মিশনের দায়িত্বও সহজ হবে। তিনি রেমিট্যান্সের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ১৯৮০-এর দশকে দেশের রপ্তানি আয় যেখানে ছিল মাত্র এক বিলিয়ন ডলার, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ বিলিয়ন ডলারে, যার পেছনে দূতাবাসগুলোরও কিছুটা হলেও অবদান রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বর্তমানে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছেন।

ফরেন সার্ভিসের ইতিহাস প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বৈশ্বিক জনমত গঠনে কূটনৈতিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় বাংলাদেশের প্রথম ডেপুটি হাইকমিশন গঠন করা হয়, যেখানে ৬৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে ফরেন সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

তৌহিদ হোসেন বলেন, বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক কর্মীদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি, অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমন্বয় ঘটিয়ে কৌশলী পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করতে হবে। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষতা ও পেশাগত মান বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা এবং বিশ্বপরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি কর্মকর্তার ভূমিকাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

repoter