ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০২:২৫ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

রেমিট্যান্স প্রবাহে ৩৫% বৃদ্ধি, তবুও কমছে রিজার্ভ

repoter

প্রকাশিত: ১২:৪৩:২৮অপরাহ্ন , ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১২:৪৩:২৮অপরাহ্ন , ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

দেশের রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক অগ্রগতি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অব্যাহতভাবে হ্রাস ঘটছে। আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে রপ্তানি আয়ে ৮ শতাংশের বেশি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও রিজার্ভ ক্ষয় হয়েছে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ডলার স্থিতি কমেছে প্রায় ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে রিজার্ভ হ্রাসের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে।

সরকার জানিয়েছে, রিজার্ভে হাত না দিয়ে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি দায় পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি আমদানি, বিদ্যুৎ বিল এবং সার ও খাদ্য আমদানির খরচ অন্তর্ভুক্ত। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রিজার্ভের প্রকৃত চিত্র বোঝা যাবে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহের বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরীর মতে, বিদেশি ঋণপ্রবাহ কমে এলেও পূর্বের দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত না হলে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে ফিরে আসবে না।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ৯ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি। রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রথম প্রান্তিকে আয় হয়েছে ১৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।

তবে উন্নয়ন সহায়তা ও বাজেট সহায়তা কমে যাওয়ায় রিজার্ভে প্রভাব পড়ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১২০ কোটি ২০ লাখ ডলারের বিদেশি ঋণ এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ কম। এ সময় ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা জানান, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ডলার সরাসরি রিজার্ভে যোগ না হওয়ায় তা বাড়তে সময় লাগে। সম্প্রতি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে দেড় বিলিয়ন ডলারের দায় পরিশোধ করা হয়েছে, যা রিজার্ভ হ্রাসের একটি প্রধান কারণ।

তবে, তিনি আশা প্রকাশ করেন, ডিসেম্বরের পর থেকে রিজার্ভের পরিমাণ বাড়তে পারে।

repoter