
ছবি: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
রাজনীতিবিদদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত গাড়িচালকদের পুনপ্রশিক্ষণ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, "যদি রাজনীতিবিদরাই রাষ্ট্র সংস্কার করতে সক্ষম হন, তাহলে গত ৫৩ বছরে তারা তা করেননি কেন? তারা যদি পারতেন, তাহলে আমাদের দায়িত্ব নিতে হতো না।"
বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব ঠিক রাখতে গিয়ে দেশের গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে দুই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতিক কালো মেঘ সরাতে হয়েছে।"
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান জানান, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালাকে আইনে রূপান্তর করে গেজেট প্রকাশ করা হবে। এতে পুলিশের ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, "হর্নের শব্দে সচিবালয়ে কাজ করা এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। ঢাকা একটি নরকে পরিণত হচ্ছে। বিদেশে হর্ন বাজানোকে গালির সমতুল্য ধরা হয়। আমাদের দেশে এই সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।"
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, "রাজধানীর বিভিন্ন সোসাইটিকে পর্যায়ক্রমে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। শব্দদূষণের কারণে মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এর ফলে একটি অস্থির প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে।"
তিনি জানান, প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার পর প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।
পরিবেশ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং শব্দদূষণ কমাতে আইন বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রিজওয়ানা হাসান।
repoter