ছবি: রাজধানীর বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি
ব্রয়লার মুরগী ও ডিমের কিছুটা দাম কমলেও শাকসবজির বাজারে স্থিতিশীলতা আসেনি, সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বেড়েছে
রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীলতার অভাব ক্রেতাদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। একটি পণ্যের দাম কমলেও অন্যটির দাম বেড়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে শীতকালীন সবজির সরবরাহ শুরু হলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ও মধ্যবিত্তরা এই ব্যয়বৃদ্ধির চাপে কষ্টে রয়েছেন।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) কচুক্ষেত বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডজন প্রতি ফার্মের ডিম ১৪৪-১৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১৮৫-১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগী ২৯০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।
মাছের বাজারেও একই চিত্র। চাষের শিং মাছ ৩৫০-৫০০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, দেশী কৈ ৭০০ টাকা, দেশি ট্যাংরা ৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ২২০-২৫০ টাকা এবং তেলাপিয়া ২৫০-২৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সবজি বিক্রেতাদের মতে, বাজারে শীতের সবজি আসলেও খরচ কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এদিন ফুলকপি পিস প্রতি ৫০-৭০ টাকা, বাধাকপি ৪০ টাকা, শিম ১২০ টাকা কেজি, মুলা ৮০ টাকা এবং টমেটো ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কাঁচামরিচের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে।
ক্রেতারা জানান, "খবরে শুনি দাম কমেছে, কিন্তু বাজারে এসে দেখতে পাই তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। শাকসবজি কিনতে গেলেই টাকা শেষ, মাছ-মাংস কেনা তো দুরের কথা।"
এই মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে। সরকার যদি বাজার পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি না করে, তবে সাধারণ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য প্রতিদিনের খাদ্য ব্যয় সামাল দেওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়বে।
repoter