
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় ট্রাম্প জানান, পুতিন তার সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং সেই বৈঠকের আয়োজন শুরু হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য এই বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। শপথ গ্রহণের পরই তিনি এই বৈঠকের মাধ্যমে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন।
যদিও ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব দেননি, তবে তিনি প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কিয়েভে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা পাঠানোর সমালোচনা করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় জর্জিয়ায় এক বক্তব্যে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বিদ্রূপ করে ‘সবচেয়ে বড় বিক্রেতা’ বলে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে তিনি কখনো পুতিনের সমালোচনা করেছেন, আবার কখনো তার প্রশংসা করেছেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে। তিনি বারবার বলেছেন যে পশ্চিমা সামরিক জোটে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অংশগ্রহণ নিয়ে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধকালে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই সহায়তার মাধ্যমে ইউক্রেনের অন্যতম বড় মিত্র হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণা, বিশেষত ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে তার প্রত্যাবর্তন, ইউক্রেন সংকট সমাধানে একটি কূটনৈতিক পদক্ষেপের আশা জাগাচ্ছে। তবে দ্রুত কোনো শান্তি চুক্তি ইউক্রেনের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে কিয়েভ এবং এর মিত্রদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইউক্রেনের জন্য এটি একটি কঠিন সময়, যখন কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর সম্ভাবনা সামনে এসেছে।
repoter