ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০২:৫১ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ১০ ফিলিস্তিনি

repoter

প্রকাশিত: ১২:০৮:১০অপরাহ্ন , ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ১২:০৮:১০অপরাহ্ন , ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের তুবাস জেলার তামুন শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

প্রাথমিকভাবে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও, পরে হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হামলাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি বাড়িতে আঘাত হানে, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও সতর্ক করেছে যে আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, এই হামলাটি তাদের কথিত 'সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান' এর অংশ ছিল। তাদের দাবি, ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থা (আইএসএ) থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তামুন এলাকায় হামলা চালানো হয়। তবে হামাস এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর দমন-পীড়ন বেড়েই চলেছে। হামাস আরও জানায়, দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ দুর্বল করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর তাদের নিপীড়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করছে।

এ হামলাকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আরও বড় সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে জেনিন, তুলকার্ম শহর এবং আশপাশের শরণার্থী শিবিরগুলো বারবার ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। জানুয়ারির শুরু থেকেই এসব এলাকায় দফায় দফায় হামলা চলছে।

১৯ জানুয়ারি গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে নতুন করে ইসরায়েলি বাহিনীর দমনপীড়ন বেড়েছে। সাম্প্রতিক এই হামলার আগে পর্যন্ত, ওই সময় থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে এবং বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের দমনমূলক কার্যক্রম নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং পশ্চিম তীরসহ পুরো অধিকৃত এলাকায় দখলদার বাহিনীর কার্যক্রম আরও তীব্র হচ্ছে, যার ফলে প্রতিদিনই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

repoter