ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ জুন ২০২৫ , ০১:০৬ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* আবারও সক্রিয় মাস্ক সিন্ডিকেট, আতঙ্কে জনসাধারণ * উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু * যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী গণবিক্ষোভ * আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত চারজন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির * ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া * ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের * পুলিশ নয়, ভারি মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের কাছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি * ঈদযাত্রায় খানাখন্দ ও বৃষ্টির কিছুটা প্রভাব থাকলেও যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক: অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার * বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ফাহামিদুলের, একাদশে নেই শমিত সোম

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ১০ ফিলিস্তিনি

repoter

প্রকাশিত: ১২:০৮:১০অপরাহ্ন , ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ১২:০৮:১০অপরাহ্ন , ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের তুবাস জেলার তামুন শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

প্রাথমিকভাবে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও, পরে হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হামলাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি বাড়িতে আঘাত হানে, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও সতর্ক করেছে যে আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, এই হামলাটি তাদের কথিত 'সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান' এর অংশ ছিল। তাদের দাবি, ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থা (আইএসএ) থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তামুন এলাকায় হামলা চালানো হয়। তবে হামাস এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর দমন-পীড়ন বেড়েই চলেছে। হামাস আরও জানায়, দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ দুর্বল করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর তাদের নিপীড়নমূলক দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করছে।

এ হামলাকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আরও বড় সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে জেনিন, তুলকার্ম শহর এবং আশপাশের শরণার্থী শিবিরগুলো বারবার ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। জানুয়ারির শুরু থেকেই এসব এলাকায় দফায় দফায় হামলা চলছে।

১৯ জানুয়ারি গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে নতুন করে ইসরায়েলি বাহিনীর দমনপীড়ন বেড়েছে। সাম্প্রতিক এই হামলার আগে পর্যন্ত, ওই সময় থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে এবং বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের দমনমূলক কার্যক্রম নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং পশ্চিম তীরসহ পুরো অধিকৃত এলাকায় দখলদার বাহিনীর কার্যক্রম আরও তীব্র হচ্ছে, যার ফলে প্রতিদিনই হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

repoter