ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:০৮ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

প্রতিদিন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের ভোগান্তি

repoter

প্রকাশিত: ০৩:১৫:৩৮অপরাহ্ন , ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৩:১৫:৩৮অপরাহ্ন , ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। যদিও ওয়েবিল প্রথা তিন বছর আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে এখনো তা ব্যবহার করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।

প্রজাপতি পরিবহন আব্দুল্লাহপুর থেকে বছিলা এবং বসুমতী পরিবহন গাবতলী থেকে আব্দুল্লাহপুর রুটে চলাচল করে। এসব পরিবহনে পূর্বে কালশী থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত পজ মেশিনের মাধ্যমে নির্ধারিত ভাড়া ছিল ১০ টাকা, তবে বর্তমানে যাত্রীদের থেকে ১৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে। একইভাবে, খিলক্ষেত থেকে বনানী, বাড্ডা ও কাকরাইল পর্যন্ত নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, প্রজাপতি পরিবহনে খিলক্ষেত থেকে মিরপুর ১০ নম্বর যাওয়ার পথে তার কাছে ২০ টাকা দাবি করা হলে তিনি ই-টিকিট চান। পরিবহন শ্রমিক জানান, পজ মেশিন মালিক নিয়ে গেছে এবং তাকে বেশি ভাড়া দিতেই হবে। একই অবস্থা লাভলী পরিবহনেও, যেখানে যাত্রীদের থেকে চার কিলোমিটারের ভাড়া ২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ২০২২ সালের ১০ আগস্ট ওয়েবিল প্রথা বাতিল করে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে ভাড়া আদায়ের নিয়ম চালু করেছিল। তবে এটি কার্যকর হয়নি এবং পুনরায় ওয়েবিল ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু হয়েছে।

ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম বলেন, ১৬ বছর ধরে ঢাকা শহরে বাস-মিনিবাস চুক্তিতে চলাচল করছে, যা যাত্রীদের হয়রানির অন্যতম কারণ। তিনি যাত্রীদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, নগদ লেনদেন বন্ধ না হলে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য রোধ করা সম্ভব নয়। প্রতিটি বাসকে কাউন্টারভিত্তিক ও ই-টিকিটিং ব্যবস্থার আওতায় আনার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জানান তিনি।

এদিকে, বিআরটিএর পরিচালক (অপারেশন) মীর আহমেদ তারিকুল ওমর বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং জরিমানা করা হচ্ছে।

বিকাশ পরিবহন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম সৌরভ বলেন, ওয়েবিল ব্যবস্থার মাধ্যমে মালিক ও চালক উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বলেন, শ্রমিকরা পজ মেশিন ব্যবহারকে ঝামেলা মনে করছে, তাই মালিকদের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেরা নির্দোষ থাকার চেষ্টা করছে।

repoter