ছবি: ফাইল ছবি
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে দাবিদাওয়া পেশ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা
ঢাকা, ১১ নভেম্বর: আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে আজ সোমবার দেশটিতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সফরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, তা তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জোরালোভাবে উপস্থাপন করবেন তিনি।
শফিকুল আলম জানান, এ সফরে অধ্যাপক ইউনূস কপ-২৯ সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং বিশ্বনেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেবেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের যে ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে, তা তুলে ধরতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
অবৈধ অর্থ পাচার রোধে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা চান অধ্যাপক ইউনূস
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার এবং অভিবাসন ব্যয় কমাতে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা কামনা করেছেন অধ্যাপক ইউনূস। গতকাল ঢাকায় সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো’র সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সিঙ্গাপুরের পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন।’ সিঙ্গাপুর এ বিষয়ে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা সিঙ্গাপুরের সহায়তায় অভিবাসন ব্যয় কমানোর জন্য একটি মডেল কাঠামো তৈরির প্রস্তাব দেন, যাতে প্রবাসীরা তাদের পরিবারের কাছে বেশি অর্থ পাঠাতে পারেন।
লিবিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি ও বাণিজ্যে আগ্রহী
এদিকে, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুতালিব এস এম সালিমান গতকাল অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং লিবিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি বিশেষ করে চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং কৃষি খাতে কর্মী নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, লিবিয়ার অর্থনৈতিক সংস্কার শেষে বাংলাদেশি কর্মীদের বেতন সমস্যা সমাধান করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ ও লিবিয়ার একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া, তিনি লিবিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ ও লিবিয়ার মধ্যে বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সুষ্ঠু পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্ব
এ সফরে অধ্যাপক ইউনূস দেশের বর্তমান পররাষ্ট্রনীতির ওপর আলোকপাত করে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য প্রতিবেশী এবং আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং সার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে আরো সমন্বয় বৃদ্ধি করা।’
repoter