ছবি: ফাইল ছবি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি মাহমুদুর রাজী’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে যে, কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে এসব প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। ফলে, ২০ নভেম্বর থেকে এসব প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মোহাম্মদ আজমী।
এই নিয়োগ স্থগিতের ফলে ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থী, যারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তারা কিছুটা আশাহত হয়েছেন। তবে, আদালত জানিয়েছে যে, তারা পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে নতুন করে আদেশ দেবেন।
এখন, আদালতের আদেশ অনুসারে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী সময়ে কোটাব্যবস্থার পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে। যেহেতু কোটাব্যবস্থা নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে বিতর্ক রয়েছে, সেক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত দেশের জনগণের মধ্যে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করবে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সংগঠন এবং সাধারণ জনগণ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল। বর্তমানে, হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে কোটা পদ্ধতি পুনরায় বিবেচনার বিষয়টি আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
আগামী দিনগুলোতে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত নির্দেশনা আসতে পারে, তবে আপাতত এই ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ স্থগিত থাকবে।
repoter