
ছবি: পাঁচ দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ বইছে পঞ্চগড়ে। ছবি: সংগৃহীত
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা রোদের দেখা মিললেও বিকেলের পর থেকে শীতের প্রকোপ তীব্র আকার ধারণ করছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে শীতের হাত থেকে বাঁচতে স্থানীয় মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে তাপ নেওয়ার চেষ্টা করছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টায় পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সকালেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় হালকা কুয়াশা পড়তে দেখা গেলেও উত্তর থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে তুলছে। পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে এ জনপদ। এর ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষদের।
টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে সন্ধ্যার পর লোকজন খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তীব্র ঠান্ডার কারণে মাঠে কৃষিকাজ বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমজীবী মানুষগুলো কাজ করতে না পেরে আরও বেশি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। ফুটপাত ও গ্রামাঞ্চলে অনেকেই চায়ের দোকানের চুলার পাশে বসে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীদের ভিড় বাড়ছে।
আবহাওয়ার সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন। শীত মোকাবিলায় প্রশাসন ও স্থানীয় সংগঠনগুলো এখনো উল্লেখযোগ্য ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেনি, যা জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
repoter