ছবি: ছবি: সংগৃহীত
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তরাঞ্চলে শীতের আগমন হয় আগেভাগেই। তবে এবার কিছুটা দেরিতে হলেও পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও আজ, শনিবার, হঠাৎ ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে পুরো জেলা।
সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশা ছিল এতটাই ঘন যে অনেক জায়গায় হালকা বৃষ্টির মতো ঝরেছে। চারদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করছে। ভ্যান, অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহনগুলো কম দেখা গেলেও, কিছু চালককে যাত্রীর অভাবে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশা পড়া শুরু হয়, যা গভীর রাতে তীব্র ঠান্ডার রূপ নেয়। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে অনেকেই কাঁথা-কম্বল ব্যবহার করছেন। ভারতের সীমান্তঘেঁষা হওয়ায় পঞ্চগড়ে শীত আগে থেকেই প্রবল হয় এবং জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।
ভ্যানচালক চৈতু মোহাম্মদ (৭০) জানান, "আজ কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে না। বসে আছি ভাড়া না পেয়ে।"
একই ধরনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন পথচারী সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, "হালকা কুয়াশা বৃষ্টি হচ্ছে। শরীর ভিজে যাচ্ছে। এক হাত দূরের কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না। গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে।"
পরিবেশ আন্দোলন বাংলাদেশ, পঞ্চগড় জেলা শাখার আহ্বায়ক এ কে এম খায়ের জানান, "আজকের আকস্মিক ঘন কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে প্রবল শীত শুরু হয়ে গেছে।"
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, শনিবার সকাল ৬টা ও সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১৭ থেকে ২০ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। দিনের বেলা সূর্যের তেজ বাড়লেও ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে শীতের কারণে স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও পাঁচ উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া এবং অ্যাজমার রোগী বাড়ছে। চিকিৎসকরা শীত মোকাবিলায় সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
repoter