ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২:৫৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্যমাত্রা: ৪-৫ শতাংশে নামানো হবে * কারামুক্ত হলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার * জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার * চীনকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২১ হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিহাস * ইমাম হোসেন তাঈম হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি গ্রেপ্তার * অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে ধৈর্যের সঙ্গে লড়াই করতে হবে: তারেক রহমান * বিপিএল থিম সংয়ের কিছু লাইন লিখেছেন ড. ইউনূস * ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে একচুলও ছাড় নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ * দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি * জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

পাঁচটি বিসিএসের মাধ্যমে ১৮ হাজার ১৫৪ জন নিয়োগ দেবে সরকার

repoter

প্রকাশিত: ০২:৫০:৪৯অপরাহ্ন , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০২:৫০:৪৯অপরাহ্ন , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

প্রতীকী ছবি

ছবি: প্রতীকী ছবি

সরকার পাঁচটি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে মোট ১৮ হাজার ১৫৪ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ৪৩তম থেকে ৪৭তম বিসিএসের আওতায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭১০ জনকে ক্যাডার পদে এবং ৫ হাজার ৪৩৯ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।

৪৩তম থেকে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে এই বিপুল নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, “সরকারের এই উদ্যোগ প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জনসেবা কার্যক্রম আরও উন্নত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে।”

তিনি আরও জানান যে, ৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্রুত ফল প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফলও শিগগিরই প্রকাশিত হবে। ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ৪৬তম ও ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি আগামী বছরের মধ্যে প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ক্যাডার পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পররাষ্ট্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে লোকবল নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে, নন-ক্যাডার পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা সরকারি দপ্তর ও সংস্থাগুলোর বিভিন্ন সহযোগী পদে কাজ করবেন।

সিনিয়র সচিব আরও বলেন, “নন-ক্যাডার পদে যারা নিয়োগ পাবেন তাদেরকেও সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। এসব পদে দক্ষ জনবল নিয়োগের মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়। মোখলেস উর রহমান বলেন, “যারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ পদে পদোন্নতির অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের বিদায়কালীন সম্মান জানিয়ে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এটি প্রশাসনে দীর্ঘদিনের একটি প্রতীক্ষিত দাবি পূরণ করবে।”

এই নিয়োগের ফলে দেশের প্রশাসনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী হবে এবং সরকারি সেবা কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। সিনিয়র সচিব বলেন, “বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘদিন ধরে লোকবল সংকট ছিল। নতুন নিয়োগের ফলে সেই সংকট দূর হবে এবং জনগণ আরও ভালো সেবা পাবে।”

তিনি আরও যোগ করেন যে, "বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আরও দক্ষ করে তোলা হবে, যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে। পিএসসি (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সিনিয়র সচিব বলেন, “পরীক্ষার প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে। প্রার্থীদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে।”

এই পদক্ষেপকে বিশেষজ্ঞরা সরকারের একটি দূরদর্শী উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান হাবীব বলেন, “এই নিয়োগের মাধ্যমে সরকার প্রশাসনিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে বড় ধরনের অবদান রাখবে।”

নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন কর্মকর্তাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিশেষ করে, প্রান্তিক এবং দুর্গম এলাকায় জনসেবা কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে এই নিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সরকারের এই উদ্যোগ দেশের প্রশাসন ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি যুবসমাজের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আশাবাদী যে, এই বিপুল সংখ্যক নিয়োগের মাধ্যমে সরকারি সেবা আরও গতিশীল ও জনবান্ধব হবে।

সরকারের পরিকল্পিত এই নিয়োগ কার্যক্রম দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে উন্নত করার পাশাপাশি জনগণের সেবার মান আরও বৃদ্ধি করবে। সরকারের স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনার মাধ্যমে মেধাবীদের জন্য উন্মুক্ত সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।

repoter