
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানি একটি নম্বর থেকে বিমানে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোম থেকে ঢাকাগামী বিজি-৫৩৬ ফ্লাইটটি নিরাপদে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। হুমকির পর, বিমান কর্তৃপক্ষ দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ফ্লাইটটিকে অবতরণের পর পর তল্লাশি শুরু করে এবং কোনো ঝুঁকিপূর্ণ বস্তু পাওয়া যায়নি।
ডিএমপি জানায়, বুধবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরের এপিবিএন ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপে একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে বোম্ব থ্রেট বার্তা আসে। ওই বার্তায় দাবি করা হয়, রোম থেকে ঢাকাগামী বিমানে ৩৪ কেজি উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক রয়েছে। খবর পাওয়ার পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
ফ্লাইটটি সকালে ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পর, ২৫০ জন যাত্রী এবং ১৩ জন ক্রুকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, "বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোম ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকি পাওয়ার পর আমরা প্রটোকল অনুসরণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিই।"
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, উড়োজাহাজটি, যাত্রী এবং তাদের লাগেজ তল্লাশি করা হয়েছে, তবে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ বস্তু পাওয়া যায়নি। তিন ঘণ্টার তল্লাশির পর, দুপুরে যাত্রীরা ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে গন্তব্যে চলে যান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আরও জানায়, নিরাপত্তা কার্যপ্রণালী অনুযায়ী, উড়োজাহাজটি ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ফ্লাইটটিকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নেওয়া হয়। যাত্রীদের নিরাপদে নামানোর পর, পুরো ফ্লাইট, যাত্রী এবং ব্যাগেজ তল্লাশি করা হয়।
"তল্লাশি শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় 'সিকিউরিটি থ্রেট ক্লিয়ার' ঘোষণা করা হয়। নিরাপত্তা তল্লাশির পর, দুপুর দেড়টার মধ্যে সমস্ত যাত্রী বিমানবন্দর ত্যাগ করেন," জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, খবর পাওয়ার সাথে সাথে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং ক্যানাইন ইউনিট যৌথভাবে তল্লাশি অভিযানে অংশ নেয়।
এদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বলেন, “আমরা জানতাম যে রোম ফ্লাইটে একটি থ্রেট ছিল। কিন্তু আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। ফ্লাইটটি ৯টা ২০ মিনিটে নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং যাত্রী ও ক্রুরা সবাই নিরাপদে আছেন। এখন মনে হচ্ছে এটি শুধুমাত্র একটি ভুয়া খবর ছিল।”
এই ঘটনা পরে সন্দেহের সুত্র ধরে মনে হয়, এটি শুধুমাত্র একটি বিভ্রান্তিকর উড়োখবর ছিল, যেটি বিমানের নিরাপত্তা তল্লাশি এবং প্রক্রিয়া শুরুর পর দ্রুত সুরাহা হয়েছে।
repoter