ঢাকা,  শুক্রবার
১৮ এপ্রিল ২০২৫ , ০৯:০৬ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে কঠিন হবে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য * আলোচনায় অসন্তুষ্ট কারিগরি শিক্ষার্থীরা, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা * চীন থেকে অর্থ আনার অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে এনবিআরের দুই কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে * ঢাকার চারপাশে গড়ে উঠছে ব্লু নেটওয়ার্ক: পানি সম্পদ উপদেষ্টা * বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা * গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বাড়ালেও সরবরাহ সংকট ও চুরি কমেনি * দেশজুড়ে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা * ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশে * মাত্র ৮ দিনের মাথায় জামিনে মুক্ত ‘ডন মাসুদ’, এলাকায় ফের আতঙ্কের ছায়া * প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দল

ওষুধ-রসায়ন খাতে আয় বৃদ্ধি: ১৩ কোম্পানির ইপিএস ঊর্ধ্বমুখী

repoter

প্রকাশিত: ০৯:২৬:২৭অপরাহ্ন , ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৯:২৬:২৭অপরাহ্ন , ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে ২৮টি কোম্পানি অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৪ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেখা গেছে, আলোচ্য সময়ে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। একই সময়ে ৮টি কোম্পানির আয় হ্রাস পেয়েছে, আর ৭টি কোম্পানি লোকসানে রয়েছে।

আয় বৃদ্ধির তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস লিমিটেড, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ওরিয়ন ইনফিউশন, কোহিনূর কেমিক্যাল কোং (বিডি) লিমিটেড, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ম্যারিকো, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি, এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং এসিআই ফর্মুলেশনস লিমিটেড।

জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস লিমিটেডের চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় ৯৮ পয়সা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ৭ পয়সা। প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৫ পয়সা।

নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় অর্জন করেছে ১ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৯৮ পয়সা। প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৫ পয়সা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ০৯ পয়সা।

ওরিয়ন ইনফিউশনের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪১ পয়সা। ছয় মাসের ইপিএস ১ টাকা ৩ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭ পয়সা।

কোহিনূর কেমিক্যাল কোং (বিডি) লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৩ টাকা ৮৫ পয়সা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ১০ পয়সা। ছয় মাসের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ৫১ পয়সা।

একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮৬ পয়সা, যা আগের অর্থবছরে ছিল ২ টাকা ৬৭ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ২ পয়সা।

বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৪৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২৫ পয়সা।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি চলতি প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৭ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ৯২ পয়সা। ছয় মাসের ইপিএস ১৪ টাকা ৩২ পয়সা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১২ টাকা ৬৯ পয়সা।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৪ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা। ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৮৭ পয়সা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৬৯ পয়সা।

ম্যারিকো তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৪৪ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ টাকা ৯৩ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে (এপ্রিল-ডিসেম্বর) ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪৫ টাকা ৬৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১৪ টাকা ২২ পয়সা।

ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৬ টাকা ৭৫ পয়সা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৭০ পয়সা। ছয় মাসের ইপিএস ৯ টাকা ৪৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ টাকা ৯২ পয়সা।

এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৬২ পয়সা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০ পয়সা। ছয় মাসে ইপিএস ১ টাকা ৩২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২০ পয়সা।

ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ পয়সা। ছয় মাসে ইপিএস ৩২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২০ পয়সা।

এসিআই ফর্মুলেশনস লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৭০ পয়সা। ছয় মাসে ইপিএস ৬ টাকা ৭৫ পয়সা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৩৪ পয়সা।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষকদের মতে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের বেশ কয়েকটি কোম্পানির আয় বৃদ্ধির ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে এ খাতের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

repoter