ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০২:৫৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

নভেম্বরে রেমিট্যান্স কমলেও ইতিবাচক ধারায় প্রবাহ

repoter

প্রকাশিত: ০৫:৩২:১২অপরাহ্ন , ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৫:৩২:১২অপরাহ্ন , ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের পঞ্চম মাস নভেম্বরেও প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ মাসে প্রায় ২২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)। তবে অক্টোবরে আসা ২৪০ কোটি ডলারের তুলনায় নভেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহে ২০ কোটি ডলারের কমতি দেখা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ১ ডিসেম্বর প্রকাশিত তথ্যমতে, নভেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের বেশি এসেছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে এসেছে ৮২ কোটি ৪২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার এবং বেসরকারি ব্যাংকে ১২২ কোটি ৩১ লাখ ডলার। তবে ৯টি ব্যাংক, যার মধ্যে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, এবং বিদেশি হাবিব ব্যাংক উল্লেখযোগ্য, কোনো রেমিট্যান্স আনতে পারেনি।

প্রবাহের ধারাবাহিকতা এবং পরিসংখ্যান

চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১,১১৩ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। মাসভিত্তিক হিসাবে, জুলাইয়ে ১৯১ কোটি, আগস্টে ২২২ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি এবং অক্টোবরে ২৪০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মাসিক রেমিট্যান্স ২০২০ সালের জুলাই মাসে এসেছিল, যা ছিল ২৬০ কোটি ডলার।

সাময়িক বাধা এবং উত্তরণ

২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশে রেমিট্যান্সে সাময়িক ছন্দপতন ঘটে। সহিংসতা, কারফিউ, ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকা এবং প্রবাসীদের মধ্যে উৎকণ্ঠার কারণে ওই মাসে রেমিট্যান্স ১৯১ কোটি ডলারে নেমে আসে। তবে আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর রেমিট্যান্সের গতি পুনরায় বাড়ে।

বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং পদক্ষেপ

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোভিড মহামারির পর রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছালেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভ দ্রুত কমতে শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক প্রবাহ দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নভেম্বরে সামান্য কমতি থাকলেও সামগ্রিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে সহায়তা করছে। প্রবাসীদের এই ধারাবাহিক অবদান দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

repoter