ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ০১:০৮ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্যমাত্রা: ৪-৫ শতাংশে নামানো হবে * কারামুক্ত হলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার * জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার * চীনকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২১ হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিহাস * ইমাম হোসেন তাঈম হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি গ্রেপ্তার * অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে ধৈর্যের সঙ্গে লড়াই করতে হবে: তারেক রহমান * বিপিএল থিম সংয়ের কিছু লাইন লিখেছেন ড. ইউনূস * ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে একচুলও ছাড় নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ * দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি * জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নতুন মেয়াদে ট্রাম্পের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য: অভিবাসন নীতি, শুল্ক বৃদ্ধি এবং প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি

repoter

প্রকাশিত: ১২:৩১:৫১অপরাহ্ন , ০৭ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১২:৩১:৫১অপরাহ্ন , ০৭ নভেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগ্রহীত

ছবি: ছবি: সংগ্রহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম অভিবাসী প্রত্যাবাসন, শুল্ক বাড়ানো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সংস্কারসহ বিভিন্ন ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রস্তুত ট্রাম্প, তবে কংগ্রেস ও আইনি বাধার শঙ্কা

নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারে অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করবেন। সেইসঙ্গে নতুন শুল্ক আরোপ, জলবায়ু বিধিনিষেধ স্থগিত, স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর পুনর্গঠন, এবং মার্কিন শিক্ষাব্যবস্থায় আদর্শগত পরিবর্তন আনবেন। ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জয় তাকে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সুযোগ দিয়েছে। তবে কিছু উদ্যোগে কংগ্রেসের অনুমোদন বাধ্যতামূলক, যা নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর সন্দেহ রয়েছে।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠদের মতে, দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি পূর্বের চেয়ে দ্রুততার সঙ্গে তার লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে সক্ষম হবেন। প্রথম মেয়াদে অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে বড় পরিবর্তন আনলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিয়ে প্রায়ই অসন্তোষ প্রকাশ করতেন ট্রাম্প। এবার তিনি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেই জটিলতাগুলো দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করার আত্মবিশ্বাস রাখেন।

তার নতুন লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অভিবাসন নীতির কড়াকড়ি অন্যতম। তিনি বিশাল ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণ, অভিবাসীদের গণপ্রত্যাবাসন, সীমান্তরক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধি, এবং সামরিক ব্যয়ের বড় অংশ সীমান্ত নিরাপত্তায় বরাদ্দ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও, ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’ ব্যবহার করে সন্দেহভাজন ড্রাগ কার্টেল ও অপরাধী গ্যাং সদস্যদের শুনানি ছাড়াই বিতাড়নের পরিকল্পনা করেছেন।

ট্রাম্প 'ক্যাচ-অ্যান্ড-রিলিজ' নীতিও বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন, যা অভিবাসন আদালতে শুনানির অপেক্ষায় থাকা অভিবাসীদের মুক্তি দেয়ার নিয়ম। পাশাপাশি ‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ নীতিও পুনরায় চালু করবেন, যাতে সীমান্ত পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টাকারীরা তাদের মামলা চলাকালীন মেক্সিকোতেই অপেক্ষা করেন। যদিও এ পরিকল্পনার অর্থায়ন ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।

ব্যবসায়িক নীতিতে ট্রাম্প দ্রুত নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যার আওতায় চীনা পণ্যের ওপর ৬০% শুল্ক আরোপ করবেন এবং মার্কিন আমদানিতে ১০-২০% শুল্ক বাড়াবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে 'ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার অ্যাক্ট' ব্যবহার করতে পারেন, তবে এ ক্ষেত্রেও আইনি বাধার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার কিছু নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে তাকে কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে।

বিদেশনীতি প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইসরায়েলকে জানুয়ারির মধ্যে গাজা যুদ্ধ শেষ করার চাপ দেবেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধও দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের গাজা ও পশ্চিম তীর নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের চেয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, যা ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের ওপর অধিক নিয়ন্ত্রণ দিতে পারে বলে আশঙ্কা।

এছাড়া, ট্রাম্প ৫০ হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হিসেবে চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করেছেন, যা প্রশাসনে তার অনুগতদের নিয়োগ ও পুনর্বহাল নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। তার সমর্থক ইলোন মাস্ক জানিয়েছেন, যদি তাকে নতুন করে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সিতে দায়িত্ব দেয়া হয়, তবে তিনি ২ ট্রিলিয়ন ডলার বাজেট কাটছাঁট করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

তবে এসব উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কংগ্রেসের অনুমোদন ও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ট্রাম্পের সামনে

repoter