ঢাকা,  শুক্রবার
১৮ এপ্রিল ২০২৫ , ০৯:৪৫ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত * বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বৈঠক: ১৫ বছর পর পুনঃশুরু সম্পর্কের নতুন দিগন্ত * তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ ফুলবাড়ীতে, ভোগান্তিতে সাধারণ ক্রেতারা * আওয়ামী লীগের মতো দলে সাকিবের যোগ দেওয়া ঠিক হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব * রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রধান বাধা আরাকান আর্মি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা * বিডিআর হত্যাকাণ্ড: তদন্তে সহায়তা চেয়ে জাতীয় স্বাধীন কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি * ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে কঠিন হবে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য * আলোচনায় অসন্তুষ্ট কারিগরি শিক্ষার্থীরা, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা * চীন থেকে অর্থ আনার অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে এনবিআরের দুই কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে * ঢাকার চারপাশে গড়ে উঠছে ব্লু নেটওয়ার্ক: পানি সম্পদ উপদেষ্টা

নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না: ভারত

repoter

প্রকাশিত: ০৯:৪৪:৪২অপরাহ্ন , ০৯ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ০৯:৪৪:৪২অপরাহ্ন , ০৯ এপ্রিল ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করলেও এটি নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। ৯ এপ্রিল (বুধবার) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (CBIC) ৮ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০২০ সালের ২৯ জুন বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে শুধু ভারতের স্থল শুল্ক স্টেশন, সমুদ্রবন্দর এবং বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশি পণ্য পাঠানোর সুযোগ বাতিল করা হয়েছে।

জয়সওয়াল জানান, ভারতের নিজস্ব লজিস্টিক অবকাঠামোয় বিগত কয়েক বছর ধরেই চাপে আছে। ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার ফলে ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দরগুলোয় ব্যাপক যানজট এবং দীর্ঘ অপেক্ষার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে পণ্য পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি ও সরবরাহ চেইন ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্যই ৮ এপ্রিল থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। তবে এটি কেবল তৃতীয় দেশে রপ্তানি সম্পর্কিত। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নেপাল এবং ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে যেতে পারবে আগের মতোই।

জয়সওয়াল আরও বলেন, ‘‘ভারত সব সময় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে আমাদের যে সংযোগ এবং বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব রয়েছে, তার ওপর এই সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাব পড়বে না। বাংলাদেশও পূর্বের মতোই ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে ওই দুই দেশে রপ্তানি করতে পারবে।’’

এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে সিবিআইসির সার্কুলারের বরাত দিয়ে জানায়, ভারত হয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে না। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০২০ সালে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থার অধীনে দেশের স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য পরিচালনায় বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছিল। তবে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে এই সুবিধা এখন বাতিল হলো।

তবে ভারত সরকারের আশ্বাস অনুযায়ী, এই নীতিগত পরিবর্তনের ফলে নেপাল এবং ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশে পণ্য পাঠানোতে কোনো বাধা তৈরি হবে না। ফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এই দুটি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবেন।

repoter