ছবি: শপথ নিলেন সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার | ছবি: বাসস
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন ও চারজন নির্বাচন কমিশনার আজ শপথ গ্রহণ করেছেন। এই উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটির সদস্যরা, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
সিইসি ও চার কমিশনারের শপথ গ্রহণ:
আজ (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত শপথগ্রহণের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীন এবং তার সঙ্গে চার কমিশনার শপথ নেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রথমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার শপথ নেন, এরপর চার কমিশনার একে একে শপথ গ্রহণ করেন।
নবনিযুক্ত চার কমিশনার হলেন:
- মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার – সাবেক অতিরিক্ত সচিব
- আব্দুর রহমানেল মাসুদ – অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ
- তাহমিদা আহমদ – সাবেক যুগ্ম সচিব
- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ
শপথ গ্রহণের পর সিইসি এবং কমিশনাররা তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করার জন্য প্রস্তুত।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা:
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আইন বিচার ব্যবস্থার সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতিরা, নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটির সদস্যরা, বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা, বিশেষ অতিথিরাও শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নতুন কমিশনের ভূমিকা:
নতুন নির্বাচনী কমিশন গঠিত হওয়ার পর তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে কাজ করবে। কমিশনাররা শপথ গ্রহণের পর তাদের মূল দায়িত্ব হিসেবে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা, ভোটারদের তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে কাজ করবেন।
নতুন কমিশন নির্বাচন কমিশন আইনের আওতায় রাজনৈতিক পরিবেশ, গণতন্ত্রের ভিত্তি এবং মানুষের ভোটাধিকার রক্ষায় কাজ করবে। নির্বাচন কমিশন যেকোনো সময়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শপথ অনুষ্ঠানে সিইসি:
শপথ গ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন তাঁর বক্তব্যে নতুন নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "আমরা আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমরা একযোগে কাজ করব এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সবরকম পদক্ষেপ নিব।"
তিনি আরও জানান, সিইসি ও কমিশনাররা একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করার জন্য কাজ করবেন। "আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করা এবং তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করা," তিনি বলেন।
নির্বাচনী কমিশনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম:
নতুন কমিশন দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। এর মধ্যে রয়েছে:
- ভোটার তালিকা হালনাগাদ: দেশের সকল নাগরিক যাতে তাদের ভোটাধিকার ভোগ করতে পারে, তার জন্য ভোটার তালিকা সঠিকভাবে হালনাগাদ করা হবে।
- নির্বাচনী প্রচারণার নিয়মকানুন: নির্বাচনী প্রচারণা এবং ভোট গ্রহণের সময় আইন মেনে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা।
- প্রযুক্তির ব্যবহার: ভোটারদের জন্য প্রযুক্তিগত সুবিধা নিশ্চিত করা, যাতে তারা সহজে ভোট দিতে পারে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও আধুনিক হয়।
নতুন কমিশন দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষিত রাখতে এবং ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে তার দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশনের এই নতুন সদস্যরা বিশ্বাস করেন, তাদের কাজের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
উপসংহার:
আজকের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে এএমএম নাসির উদ্দীন এবং তার চার কমিশনার সহ নির্বাচনী কমিশনের নতুন টিম দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার জন্য তারা নিরপেক্ষ এবং কার্যকরীভাবে কাজ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
repoter