ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০২:৪৭ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

মতপার্থক্য থাকলেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই: প্রধান উপদেষ্টা

repoter

প্রকাশিত: ০৯:২২:৩৪অপরাহ্ন , ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৯:২২:৩৪অপরাহ্ন , ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে দেশের চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ের যাজক এবং স্কলাররা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই সভায় মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও আমরা কেউ কারও শত্রু নই। জুলাই মাসে অভ্যুত্থানের পর সরকার গঠনের সময়ই আমি দেশবাসীকে বলেছিলাম, আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকবে, নানা ধর্ম ও রীতিনীতি থাকবে। তবে জাতীয় পরিচয়ে আমরা সবাই এক। আমাদের এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

তিনি আরও জানান, সরকার গঠনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ পান। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। মন্দিরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা তাদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। মূল দাবি ছিল সবার সমান অধিকার এবং সংবিধানের প্রদত্ত অধিকারগুলোর সুরক্ষা। তিনি তাদের আশ্বস্ত করেন যে সংবিধান প্রদত্ত অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজাকে জাতীয় উৎসবে পরিণত করতে সরকার কাজ করেছে এবং এতে সফলতাও এসেছে। কিন্তু এরপরও কিছু জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলেন, বাস্তব পরিস্থিতি এবং তথ্যের মধ্যে ফারাক রয়েছে। এমন বিভ্রান্তিকর তথ্যের অবসান ঘটাতে হবে।

ভুল তথ্যের প্রভাব নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, সত্য উদঘাটনে একটি নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। কোনো ঘটনা ঘটলে প্রকৃত তথ্য দ্রুত যাচাইয়ের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নাগরিকদের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করাই সরকারের মূল কাজ। ধর্ম, সংস্কৃতি ও জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। ড. ইউনূস তাদের আশ্বস্ত করেন যে সরকার এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বৈঠকের শেষাংশে তিনি বলেন, “আমাদের ভিন্নমত থাকতে পারে, তবে সেটা কখনোই বৈরিতায় পরিণত হওয়া উচিত নয়। আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমাদের পরিচয় এক এবং আমাদের লক্ষ্যও এক। দেশের শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।”

repoter