ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ০১:১০ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্যমাত্রা: ৪-৫ শতাংশে নামানো হবে * কারামুক্ত হলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার * জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার * চীনকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২১ হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিহাস * ইমাম হোসেন তাঈম হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি গ্রেপ্তার * অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে ধৈর্যের সঙ্গে লড়াই করতে হবে: তারেক রহমান * বিপিএল থিম সংয়ের কিছু লাইন লিখেছেন ড. ইউনূস * ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে একচুলও ছাড় নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ * দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি * জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

মেগা প্রকল্পে আয় কম, ভর্তুকি দিয়ে ঋণ শোধের চাপ

repoter

প্রকাশিত: ০৮:৪০:১৪পূর্বাহ্ন, ১১ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৮:৪০:১৪পূর্বাহ্ন, ১১ নভেম্বর ২০২৪

সংগৃহীত ছবি

ছবি: সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের রেলপথ থেকে পদ্মা রেল সংযোগ: আয়ের ঘাটতিতে বিপাকে যোগাযোগ অবকাঠামো খাত

দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও, আয়ের ঘাটতি এবং ঋণ শোধে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে সরকার। কক্সবাজার রেলপথ, উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল এবং পদ্মা সেতু সংযোগ রেলপথ প্রকল্পের নির্মাণে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া হলেও, চালুর পর থেকে প্রকল্পগুলোর আয় দিয়ে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ঠিকমতো মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরকারকে প্রতি বছর ভর্তুকি দিয়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে।

২০২২ সালে চালু হওয়া দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ শোধ করতে প্রতিবছর গড়ে ৪৫৫ কোটি টাকা প্রয়োজন হলেও, প্রকল্পটি এখনো লাভজনক অবস্থানে পৌঁছায়নি। এদিকে মেট্রোরেল প্রকল্পের আয় দিয়েও এখনো ঋণ শোধ সম্ভব নয়, যা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প এবং পদ্মা রেল সংযোগ রুটেও একই রকম চ্যালেঞ্জ দেখা যাচ্ছে। টানেলটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে বার্ষিক ব্যয় প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা হলেও, এক বছরে আয় হয়েছে মাত্র ৩৭ কোটি টাকা। পদ্মা রেল সংযোগ রুটে আয় অপ্রতুল হওয়ায় ভর্তুকির প্রয়োজন হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব প্রকল্প দেশের অর্থনীতির জন্য ক্রমশ বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামছুল হকের মতে, এসব প্রকল্পের জন্য নেওয়া উচ্চাভিলাষী ঋণ দেশের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করছে।

repoter