ঢাকা,   বুধবার
২ এপ্রিল ২০২৫ , ১২:৩৭ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার ফরিদপুরের ওসি শফিকুল

repoter

প্রকাশিত: ১০:২৫:১৮পূর্বাহ্ন, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ১০:২৫:১৮পূর্বাহ্ন, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলামকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানায় কর্মরত অবস্থায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ওসি শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র মো. হৃদয় হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি ছিলেন শফিকুল ইসলাম। ওই মামলায় তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় ওসি হিসেবে যোগদানের আগে তিনি হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুই মাস আগে তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে বদলি করা হয়।

এদিকে, হবিগঞ্জ মডেল থানায় করা আরেকটি মামলায় শফিকুল ইসলামকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা শহরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার দেড় বছর পর এই মামলাটি দায়ের করেন হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়াল। এ মামলায় হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম মুরাদ আলিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের ১৮ সদস্যসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, পুলিশের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়ে গুলি ছোড়েন এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপসহ লাঠিপেটা করেন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের ধাওয়া দিয়ে গ্রেপ্তার করেন। আহতদের মধ্যে অনেকে পালিয়ে গেলেও কয়েকজন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছের বাসভবনে আশ্রয় নেন। সেখানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ করা হয়।

বিএনপি নেতা এস এম আব্দুল আউয়াল মামলায় উল্লেখ করেছেন, ঘটনার সময় তিনি গুরুতর আহত হন এবং প্রাণনাশের আশঙ্কায় দীর্ঘদিন আইনের আশ্রয় নিতে পারেননি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন এবং সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন।

repoter