
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার দেবিদ্বারে অনুষ্ঠিত একটি মাহফিলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার প্রথম আলোচনা করেছেন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পদ্মা ওয়াজ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে তাকে সাদা পাঞ্জাবি ও টুপি পরে মাহফিলে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। এই মাহফিলের মাধ্যমে হাসনাত তার প্রথমবারের মতো এমন ধর্মীয় পরিবেশে বক্তব্য রাখলেন।
ভিডিওর শুরুতে হাসনাতকে বলতে শোনা যায়, মানুষের পছন্দ-অপছন্দ তার কাছে গৌণ। বরং ইসলাম তার কাছে যা বলে, সেটাই তার জন্য প্রধান। তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামের শিক্ষা যদি কারও অপছন্দনীয় হয়, তা সত্ত্বেও তা প্রচার করতে হবে। তার এমন বক্তব্য উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলে।
আলোচনায় হাসনাত তার গ্রামের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলেন, দেবিদ্বারের গ্রামে তিনি বেড়ে উঠেছেন এবং এখানকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রথার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বলেন, গ্রামের একটি প্রচলিত অর্থনৈতিক বিনিময় ব্যবস্থা, যাকে স্থানীয়রা "পত্তন" বলে অভিহিত করেন, আসলে সুদের একটি প্রকার। নিজের পরিবারসহ অনেকের এই প্রথার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সচেতনতা অর্জন এবং আলেমদের পরামর্শের ভিত্তিতে তারা এই পথ থেকে সরে এসেছেন।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে হাসনাত সুদের সামাজিক ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সুদের মাধ্যমে অর্থের বৃদ্ধি একাধিক পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। তিনি কসম করে বলেন, সুদ বন্ধ না করা পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তিনি সবাইকে আহ্বান জানান এই ধরনের প্রথা বন্ধ করার জন্য।
হাসনাত আরও বলেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা পৃথিবী ও পরকালের বিষয়ে কথা বলে। এই দুই দিকের সমন্বয় ঘটিয়ে জীবন পরিচালনার উপর তিনি গুরুত্ব দেন। তিনি সামাজিক ঋণ ব্যবস্থা সহজলভ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ইসলামের আর্থিক নীতির উপর তার এই বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
repoter