ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২:৫৪ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্যমাত্রা: ৪-৫ শতাংশে নামানো হবে * কারামুক্ত হলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার * জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার * চীনকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২১ হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিহাস * ইমাম হোসেন তাঈম হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি গ্রেপ্তার * অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে ধৈর্যের সঙ্গে লড়াই করতে হবে: তারেক রহমান * বিপিএল থিম সংয়ের কিছু লাইন লিখেছেন ড. ইউনূস * ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে একচুলও ছাড় নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ * দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি * জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ: হাইকোর্টের রায়

repoter

প্রকাশিত: ০১:০০:৫০অপরাহ্ন , ১৪ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০১:০০:৫০অপরাহ্ন , ১৪ নভেম্বর ২০২৪

হাইকোর্ট

ছবি: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট রায়ে জানিয়েছে, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল। এ সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর ৯ নম্বর ধারার বিধানটি বাতিল ঘোষণা করেছে আদালত। আদালত বলেন, এ ধরনের দায়মুক্তি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালত জানান, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর ব্যাপক খরচ এবং অনিয়মের ফলেই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, অথচ আইন করে এসব অনিয়মকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব অনিয়মের বিচার চাওয়া যাবে না—এটা জনস্বার্থবিরোধী এবং সংবিধানের লঙ্ঘন।

রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদ। আইনটির ৬ (২) ও ৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দাখিল করা হয়। প্রাথমিক শুনানির পর গত ৭ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে এবং ১৪ নভেম্বর চূড়ান্ত রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।

রিটে উল্লেখ করা হয়, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল প্রকল্পে অস্বাভাবিক খরচ ও অনিয়মের কারণে বারবার বিদ্যুতের মূল্য বাড়ছে। সরকার আইন করে এসব অনিয়মের বৈধতা দিয়েছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী। এই আইন অনুসারে, কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানির সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি করতে মন্ত্রীকে একক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে, যা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

ড. শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, "২০১০ সালের এই আইনটির ৬(২) ও ৯ নম্বর ধারায় মন্ত্রীকে একক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, যা রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ অপচয়ের পথ সুগম করেছে।"

repoter