ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:২৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

কবি হেলাল হাফিজ আর নেই

repoter

প্রকাশিত: ০৮:১৬:৫৪অপরাহ্ন , ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৮:১৬:৫৪অপরাহ্ন , ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কবি হেলাল হাফিজ। ছবি : সংগৃহীত

ছবি: কবি হেলাল হাফিজ। ছবি : সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্যের দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

জানা গেছে, বেলা ২টার দিকে শাহবাগের সুপার হোস্টেলের ওয়াশরুমের দরজা খুলে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

কবির জানাজার নামাজ আগামীকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

কবি হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি গ্লুকোমা, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস এবং স্নায়ুজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি লেখালেখি চালিয়ে গেলেও শারীরিক দুর্বলতা ক্রমেই তার সৃষ্টিশীলতাকে ব্যাহত করেছিল।

হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত তার প্রথম কবিতার বই যে জলে আগুন জ্বলে তাকে এনে দেয় অসাধারণ জনপ্রিয়তা। বইটি এখন পর্যন্ত ৩৩ বার মুদ্রিত হয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তার কবিতা বাংলাদেশের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। বিশেষ করে তার বিখ্যাত কবিতা নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় থেকে পঙক্তি— “এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়”— আন্দোলনের সময় স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

কবিতার পাশাপাশি সাংবাদিকতাও ছিল হেলাল হাফিজের পেশা। তিনি দৈনিক যুগান্তর সহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তার কবিতার ভাষায় দ্রোহ ও প্রেমের এক অসামান্য মেলবন্ধন পাওয়া যায়, যা তাকে পাঠকসমাজে অমর করে তুলেছে।

২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন হেলাল হাফিজ। এর আগে তিনি খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ আরও নানা সম্মাননা লাভ করেন। তার প্রয়াণে সাহিত্যাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

repoter