
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
আগামী জাতীয় নির্বাচন কখন হবে—এ বছরের শেষ নাগাদ নাকি আগামী বছরের জুনের মধ্যে, তা নির্ভর করছে জুলাই চার্টারের বাস্তবায়নের ওপর বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম।
আজ বুধবার, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগীয় এবং প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গত থেকে ছয়টি বড় সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন, এবং তাদের সুপারিশ অনুযায়ী একটি ঐকমত্য কমিশন তৈরি হয়েছে, যার প্রধান নিজে তিনি। কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কোন সংস্কার কতটা দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং কতগুলো সাংবিধানিক সংস্কারের প্রয়োজন।
এছাড়াও তিনি জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে—এটি ওই ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্ধারণ হবে।
বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সম্পর্কিত শফিকুল আলম আরও জানান, বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা দেশের বর্তমান বিচারব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে সহায়ক হবে। তার মতে, যদিও পূর্ববর্তী সরকারগুলো বিচার বিভাগকে স্বাধীন বলে দাবি করেছিল, বাস্তবে তা কখনই ছিল না।
তিনি বলেন, নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার জন্য কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য কিছু সাংবিধানিক সংস্কারেরও প্রয়োজন হবে।
স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস সম্পর্কে তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় কমিশনের সুপারিশে একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে, যা দেশের আইনজীবী নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরো স্বচ্ছ ও পেশাদার করবে।
এছাড়াও, বাংলাদেশের আইনজীবীদের রাজনীতি ও আদালতের স্বতন্ত্রতা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরির কথা জানানো হয়েছে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, কমিশন সুপারিশ করেছে, স্বাধীন তদন্ত সংস্থা গঠন করা উচিত। এই সংস্থা পুলিশের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত তদন্ত পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
repoter