ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০২:২৪ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় কল্যাণমুখী অর্থনৈতিক কাঠামোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের

repoter

প্রকাশিত: ০৭:৪৮:৩০অপরাহ্ন , ১৩ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৭:৪৮:৩০অপরাহ্ন , ১৩ নভেম্বর ২০২৪

কপ২৯ সম্মেলনে বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস | ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ছবি: কপ২৯ সম্মেলনে বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস | ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু সংকট মোকাবেলা ও একটি কল্যাণমুখী নতুন সভ্যতা গড়ে তুলতে নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৩ নভেম্বর) আজারবাইজানের বাকুতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। বৈঠকটি কপ২৯ সম্মেলনের ফাঁকে রুদ্ধদ্বার আকারে আয়োজিত হয়, যেখানে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা পাঁচটি স্বল্পোন্নত দেশের নেতা অংশগ্রহণ করেন। দেশগুলো হলো- নেপাল, মালাউই, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া ও বাংলাদেশ।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমাদের এমন একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দরকার, যা পৃথিবী এবং মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। বর্তমান কাঠামো শুধুমাত্র ভোগ ও বর্জ্য বাড়াচ্ছে, যা পরিবেশের ক্ষতি করছে। আমাদের একটি শূন্য-বর্জ্যবিশিষ্ট বিশ্ব গড়তে হবে।” তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, তরুণদের কল্যাণমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়তে জাতিসংঘের ‘সামিট ফর দ্য ফিউচার’-এ তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

প্রতি বছর কপ সম্মেলনের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট নিরসনের প্রচেষ্টার তুলনায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “প্রতি বছর কপ সম্মেলন করা সময় ও সম্পদের অপচয়। আমাদের একটি স্থায়ী এবং দেশভিত্তিক পরিকল্পনা দরকার যা আসলেই কার্যকর হবে।”

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলো সবচেয়ে বড় অবিচারের শিকার। এলডিসিগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, “জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য বৃহত্তর তহবিল সুরক্ষিত করতে তাদের শক্তিশালী আলোচনা ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।" 

repoter