ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৩:৫৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনের ঘোষণা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

repoter

প্রকাশিত: ০২:৪১:৪৩অপরাহ্ন , ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০২:৪১:৪৩অপরাহ্ন , ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশের রাজনীতিতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি নতুন কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নতুন এই কমিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’। দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে এবং রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এই কমিশন কাজ করবে।

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘যেকোনো ধরনের সংস্কারের জন্য সর্বপ্রথম রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন। রাজনৈতিক বিভাজন এবং মতবিরোধ দূর করে একটি সুদূরপ্রসারী ঐকমত্যে পৌঁছাতে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, যারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খাতে সংস্কার কার্যক্রমের জন্য কাজ করছে। আমি আশা করছি, শিগগিরই এই ছয়টি কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করবে।’’

এই ছয়টি কমিশনের প্রধানদের নিয়ে নতুন একটি কমিশন গঠনের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখন সেই প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে একটি জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। নতুন এই কমিশন দেশের সকল রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। যেসব বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে, সেগুলো চিহ্নিত করে বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করবে কমিশন।’’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও জানান, এই কমিশনের নেতৃত্বে তিনিই থাকবেন এবং কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর সঙ্গে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আলী রিয়াজ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের স্বার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য আমি নিজেই এই কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করব।’’ তিনি আরও জানান, কমিশন প্রয়োজনে নতুন সদস্য যোগ করতে পারবে এবং দেশের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও গ্রহণ করবে।

আগামী মাসেই এই কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হবে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তগুলো চিহ্নিত করা ও বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রদান করা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই কমিশন দেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’’

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘দেশের অগ্রগতির জন্য আমাদের সব বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের মাধ্যমেই আমরা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক আদর্শের পথে এগিয়ে যেতে পারব।’’

ড. ইউনূসের এই ঘোষণার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা আশা করছেন, জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন বর্তমান সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আগামী দিনে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন কীভাবে কাজ করে এবং কতটা সফল হয়, সেটাই এখন সবার নজরে থাকবে।

repoter