ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০২:৫৭ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স কোর্স হবে ৩ বছরের: আমিনুল

repoter

প্রকাশিত: ০৬:৫৪:৫৩অপরাহ্ন , ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০৬:৫৪:৫৩অপরাহ্ন , ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের সম্মান বা অনার্স কোর্সের মেয়াদ কমিয়ে তিন বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই পরিবর্তনটি কার্যকর হলে, অতিরিক্ত এক বছরে ডিপ্লোমা এবং কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হবে। নতুন ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা দুটি সার্টিফিকেট পাবে—একটি অনার্সের সার্টিফিকেট এবং অন্যটি ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট, যা ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে।

এই তথ্য রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জানান, শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনার্স করার স্বপ্ন পূর্ণ করতে পারবে, পাশাপাশি তারা ভাল চাকরি পাওয়ার সুযোগও পাবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ ধারনা অনুযায়ী, পরিবারের সদস্যরা সবসময় চান, ছেলে বা মেয়ে বিএ, এমএ পাস করুক। কিন্তু সেই শিক্ষার পর অনেকেই চাকরিতে যোগ দেয় না। এমনকি অনেকের তো চাকরি প্রয়োজনও থাকে না, কারণ তাদের পরিবার ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে তাদের আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করে থাকে।

এছাড়াও, এম আমিনুল ইসলাম দেশের ডিপ্লোমা ও কারিগরি শিক্ষাকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে এক নতুন ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দেশের মধ্যে কারিগরি শিক্ষাকে নিয়ে একটি স্টিগমা বা নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে, কিন্তু ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে বেশ কিছু অভিনব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে, তিনি দেশের কারিগরি শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, দেশে কারিগরি শিক্ষায় প্রয়োজনীয় শিক্ষক, ল্যাবরেটরি এবং প্রশিক্ষকদের অভাব রয়েছে। তাই, অনেক ক্ষেত্রে শুধু থিওরি পড়ানো হয় এবং তার ভিত্তিতে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। তিনি আশা করেন, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে দেশের কারিগরি শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক সাইদুর রহমান, কারিগরি ও মাদ্রাসার শিক্ষা বিভাগের সচিব কবিরুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।

repoter