ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০২:৪৩ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

জামালপুরে হাসপাতাল ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ: যুবদল নেতা শুভসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

repoter

প্রকাশিত: ০৭:৪৫:৫৮অপরাহ্ন , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৭:৪৫:৫৮অপরাহ্ন , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

জামালপুর শহরে বিএনপির দলীয় অফিসে গুলিবর্ষণ ও একটি বেসরকারি হাসপাতালে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় যুবদল নেতা এম শুভ পাঠানসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে তাদের কাছে দুটি পিস্তল দেখা যাওয়ার পর পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আসামিদের রিমান্ড আবেদন করবে বলে জানিয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর, সোমবার দুপুরে জামালপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ এই তথ্য জানায়। এর আগে ২২ ডিসেম্বর রাতে রাজধানী ঢাকার একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সম্পাদক এম শুভ পাঠান, তার অনুসারী রিপন হাসান হৃদয়, মাসুম মিয়া, রাজু ও ঝুটন মিয়া। তারা সবাই জামালপুর শহরের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, ২৮ নভেম্বর মধ্য রাতে জামালপুর শহরের সরদারপাড়া এলাকায় এমএ রশিদ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এম শুভ পাঠানের নেতৃত্বে হৃদয়, রাজু ও মাসুমসহ কয়েকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এরপর তারা ওই হাসপাতালের পাশের শাহীন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতেও ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে তারা বিএনপির অফিসে গিয়ে ২-৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এই ঘটনার পর শহরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও শাহীন বাদী হয়ে দুটি আলাদা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তির সাহায্যে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে। এরপর ঢাকার গুলশান ২ নম্বর রোডের একটি হোটেল থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

জামালপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও একজন কর্মচারী পৃথক দুটি মামলা করেন ৩০ নভেম্বর। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং রাজধানী থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, সড়ক পারাপার নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, তবে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’’

এই ঘটনার পর, জামালপুর শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও কড়া করা হয়েছে এবং পুলিশ পুরো এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।

repoter