ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০৩:৩৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

জামালপুরে হাসপাতাল ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ: যুবদল নেতা শুভসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

repoter

প্রকাশিত: ০৭:৪৫:৫৮অপরাহ্ন , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৭:৪৫:৫৮অপরাহ্ন , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

জামালপুর শহরে বিএনপির দলীয় অফিসে গুলিবর্ষণ ও একটি বেসরকারি হাসপাতালে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় যুবদল নেতা এম শুভ পাঠানসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে তাদের কাছে দুটি পিস্তল দেখা যাওয়ার পর পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আসামিদের রিমান্ড আবেদন করবে বলে জানিয়েছে।

২৩ ডিসেম্বর, সোমবার দুপুরে জামালপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ এই তথ্য জানায়। এর আগে ২২ ডিসেম্বর রাতে রাজধানী ঢাকার একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সম্পাদক এম শুভ পাঠান, তার অনুসারী রিপন হাসান হৃদয়, মাসুম মিয়া, রাজু ও ঝুটন মিয়া। তারা সবাই জামালপুর শহরের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, ২৮ নভেম্বর মধ্য রাতে জামালপুর শহরের সরদারপাড়া এলাকায় এমএ রশিদ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এম শুভ পাঠানের নেতৃত্বে হৃদয়, রাজু ও মাসুমসহ কয়েকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এরপর তারা ওই হাসপাতালের পাশের শাহীন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতেও ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে তারা বিএনপির অফিসে গিয়ে ২-৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এই ঘটনার পর শহরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও শাহীন বাদী হয়ে দুটি আলাদা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তির সাহায্যে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে। এরপর ঢাকার গুলশান ২ নম্বর রোডের একটি হোটেল থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

জামালপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও একজন কর্মচারী পৃথক দুটি মামলা করেন ৩০ নভেম্বর। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং রাজধানী থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, সড়ক পারাপার নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, তবে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’’

এই ঘটনার পর, জামালপুর শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও কড়া করা হয়েছে এবং পুলিশ পুরো এলাকায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।

repoter