
ছবি: ইসরায়েলের গোলান মালভূমিতে বসতি স্থাপন দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে বসতি স্থাপন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করায় সৌদি আরব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সৌদি আরব এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ইসরায়েলের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার গোলান মালভূমিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১১ মিলিয়ন ডলার বাজেট অনুমোদন করেছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, সিরিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি ও নতুন ফ্রন্টের আলোকে এই অঞ্চলে জনসংখ্যা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে গোলান মালভূমিকে দখলকৃত আরব ভূমি হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে। সৌদি আরব দাবি করে, এই কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতার ওপর সরাসরি আঘাত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সৌদি আরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায়, তারা যেন ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল গোলান মালভূমির অধিকাংশ অংশ দখল করে নেয়। ১৯৮১ সালে ইসরায়েল এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে। তবে এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে; বিশ্বের অন্যান্য দেশ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি।
সৌদি আরবের এই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সৌদি আরব এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে আরব ভূমির পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গোলান মালভূমি ইস্যুতে সৌদি আরবের এমন কড়া অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
repoter