ঢাকা,  শুক্রবার
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ০২:০৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল * গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, দেশে–বিদেশে উদ্বেগ * ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা, আজ চালু থাকছে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র * ৬৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে গতি আনছে সরকার * যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ফিরিয়ে আনছেন ট্রাম্প, সমালোচনার কেন্দ্রে ভেনেজুয়েলা অভিযান * পাবনার বেড়ায় স্পিডবোটে এসে বাজারে ডাকাতি, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত * যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভেনেজুয়েলা অভিযান: মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে * ট্রাম্পের ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা: ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে নতুন জটিলতা * গুম ও মানবতাবিরোধী অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে * বিএনপির ৪০টির বেশি আসনে মনোনয়নসংক্রান্ত অসন্তোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যস্ত সমাধান খুঁজতে

ইলন মাস্ককে ‘ধ্বংস’ করার প্রতিজ্ঞা স্টিভ ব্যাননের

repoter

প্রকাশিত: ০১:০৪:২৩অপরাহ্ন , ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

আপডেট: ০১:০৪:২৩অপরাহ্ন , ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন টেক বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ককে ‘পুরোপুরি ধ্বংস’ করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। একটি ইতালীয় সংবাদপত্র, করিয়েরে দেলা সেরা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যানন মাস্কের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন এবং তাকে ‘অত্যন্ত দুষ্ট’ বলে অভিহিত করেন।

ব্যাননের অভিযোগ, ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তিদের অভিবাসন নীতি এবং এইচ-১বি ভিসার মতো প্রোগ্রামকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য কঠোরভাবে জবাবদিহি করতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় দফার সম্ভাব্য পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ব্যানন স্পষ্ট করে বলেন, তিনি মাস্কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

ব্যানন বলেছেন, “আমি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শপথ গ্রহণের আগেই ইলন মাস্ককে এখান থেকে সরিয়ে দিতে চাই। তিনি একজন খারাপ এবং দুষ্ট ব্যক্তি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে ধ্বংস করার প্রতিজ্ঞা করেছি।”

এইচ-১বি ভিসার বিষয়ে ব্যাননের সমালোচনা বিশেষভাবে তীব্র। মাস্কের সমর্থনে থাকা এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে তিনি দাবি করেন, এটি টেক কোম্পানিগুলোর মালিকদের দ্বারা অপব্যবহৃত হয় এবং আমেরিকান শ্রমিকদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে।

মাস্ক নিজে একসময় একজন এইচ-১বি ভিসাধারী ছিলেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তবে ব্যাননের মতে, এই প্রোগ্রাম আন্তর্জাতিক প্রতিভা আকর্ষণ করার পরিবর্তে স্থানীয় কর্মসংস্থান সংকট বাড়িয়ে তোলে। তিনি বলেন, “এই ভিসা ব্যবস্থা টেক কোম্পানিগুলোকে সস্তায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ করার সুযোগ দেয়, যা স্থানীয় শ্রমিকদের জন্য ক্ষতিকর।”

ব্যানন মাস্কের বংশধারা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সামাজিক পরিস্থিতি নিয়েও আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, “ইলন মাস্ককে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যেতে হবে। কেন এমন একটি দেশ থেকে আসা মানুষ, যাদের ইতিহাসে বর্ণবাদের গভীর প্রভাব রয়েছে, তারা আমাদের দেশ সম্পর্কে মন্তব্য করার অধিকার পায়?”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী পৃথিবীর অন্যতম বর্ণবাদী মানুষ। তাদের আমাদের অভিবাসন বা সামাজিক নীতিমালা নিয়ে মতামত দেওয়ার কোনও অধিকার নেই।”

মাস্কের ব্যক্তিগত লক্ষ্য সম্পর্কেও সমালোচনা করে ব্যানন বলেছেন, “তার মানসিকতা একটি ছোট শিশুর মতো। তার একমাত্র লক্ষ্য হলো নিজের সম্পদ বৃদ্ধি করা এবং নিজের স্বার্থ রক্ষা করা।”

ব্যাননের এই মন্তব্য প্রযুক্তি খাত এবং অভিবাসন নীতি নিয়ে চলমান বিতর্কের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ইলন মাস্ক এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

repoter