ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০২:৫৩ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

ইজতেমায় সাদপন্থিদের বিক্ষোভ, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাওয়ের চেষ্টা

repoter

প্রকাশিত: ০৯:৫১:০৬অপরাহ্ন , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৯:৫১:০৬অপরাহ্ন , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

টঙ্গী ইজতেমায় ভারতীয় মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলোভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে সাদপন্থি তাবলিগ জামাতের একাংশের মুসল্লিরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করে সাদের ইজতেমায় অংশগ্রহণের অনুমতি আদায় করা।

সকালে কাকরাইল মসজিদের সামনে মুসল্লিরা জড়ো হতে শুরু করেন এবং সকাল ৯টার পর তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। তারা স্লোগান দেন, "মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসতে দেওয়ার" জন্য। সাদপন্থিরা জানান, তারা চান, মাওলানা সাদ যেন আগামী বছরের বিশ্ব ইজতেমায় দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করতে পারেন, যা ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

বিক্ষোভকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ ব্যারিকেডের কারণে তারা আরও এগোতে পারেননি। পরে, চার-পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করে তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।

এদিকে, সাদপন্থিদের পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচির কারণে কাকরাইল মসজিদ, কাকরাইল মোড় এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সজাগ ছিল, এবং কোন অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক ছিল।

এ ঘটনা নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সাদপন্থি হাজার হাজার মুসল্লি সকাল ১০টার আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন, কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেডের কারণে তারা আর এগোতে পারেননি। তারা পরে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন এবং তাদের কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।

এদিকে, মাওলানা সাদের উপস্থিতি নিয়ে চলমান বিতর্কে সাদপন্থিদের একটি বৃহৎ অংশ তাদের দাবিতে সোচ্চার রয়েছে। তারা মনে করছেন, মাওলানা সাদ যদি ইজতেমায় অংশ নেন, তবে তা তাদের ধার্মিক ও আধ্যাত্মিক জীবনকে সমৃদ্ধ করবে। তবে ইজতেমা আয়োজকদের পক্ষ থেকে সাদের উপস্থিতি নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, এবং বিষয়টি নিয়ে নানা মতপার্থক্য রয়েছে।

repoter