
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
চীনে শনাক্ত হওয়া হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে বাংলাদেশে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশে একজন ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চীনসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি যেমন হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্ত, গর্ভবতী নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটি গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিক সময়ে চীন এবং আশেপাশের দেশগুলোতে এই ভাইরাসের বিস্তার দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশে এটি প্রতিরোধে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। এজন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং দেশের সকল প্রবেশপথে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে সচেতনতার ওপর জোর দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাধারণ জনগণকে শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে নির্ধারিত বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, মাস্ক ব্যবহার, হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা, ব্যবহৃত টিস্যু সঠিকভাবে ফেলা এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার মতো অভ্যাস সংক্রমণ রোধে সহায়ক হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি বলে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মতোই ফ্লুর মতো উপসর্গ তৈরি করে। এতে আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, যদি কারও জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দেয়, তবে তাকে বাড়িতে অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল ইউনিট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সচেষ্ট রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে উল্লেখ করেছে যে, সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এর ঝুঁকি কমিয়ে আনা যাবে।
repoter