
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
হাঁটু প্রতিস্থাপন শুধু চিকিৎসা নয়, এটি মানুষের জীবনকে নতুন করে গড়ার এক অনন্য মাধ্যম। এভারকেয়ার হাসপাতালের জয়েন্ট কেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের প্রধান ও অর্থোপেডিক্স বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এম আলী এমনটাই জানিয়েছেন। সোমবার ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের আয়োজনে হাঁটু প্রতিস্থাপন সার্জারি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে হাঁটুর ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং এর আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞরা হাঁটুর ব্যথার কারণ, লক্ষণ এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিসের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়, যাতে বড় ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়।
ডা. এম আলী এভারকেয়ার হাসপাতালের হাঁটু প্রতিস্থাপনের আধুনিক পদ্ধতি নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি জানান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগীদের ব্যক্তিগত চাহিদার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। হাঁটু প্রতিস্থাপন রোগীদের চলাচলের সক্ষমতা এবং আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে, যা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনে।
তিনি আরও বলেন, সার্জারি পরবর্তী ব্যথা নিরাময় এবং পুনর্বাসন রোগীদের জীবনের মান উন্নত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জয়েন্ট কেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে প্রতিটি রোগীকে ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করে তাদের জন্য সেরা চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়।
এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, এভারকেয়ার শুধু উন্নত চিকিৎসাই প্রদান করে না, রোগীদের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দেয়। হাঁটু প্রতিস্থাপন অনেক রোগীর জন্য নতুন এক জীবন শুরু করার সুযোগ তৈরি করে। তিনি বলেন, এভারকেয়ার দেশে প্রথম আর্থোপ্লাস্টি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে, যা আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করছে।
অনুষ্ঠানে এভারকেয়ারের পেশেন্ট ফোরামের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানানো হয়। এটি ছিল রোগী, তাদের পরিবার এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার একটি প্ল্যাটফর্ম। ফোরামটি জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানের শেষে রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। তারা এই ধরনের উদ্যোগকে অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং অনুপ্রেরণামূলক বলে মন্তব্য করেন।
এভারকেয়ার হাসপাতাল ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের মাঝে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সেবার মান আরও উন্নত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।
repoter