ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:২৯ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রবিবার * প্রতিযোগী না হয়ে প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতিই নিজেদের: পঞ্চগড়ে সারজিস আলম * জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবারদের পাশে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক * ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল * শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সৌদিতে রবিবার ঈদ উদযাপিত হবে * “বাংলাদেশ কোরআনের উর্বর ভূমি” — পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতায় ধর্ম উপদেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা * চা শ্রমিকদের পাশে সিলেটের ডিসি — দুর্দশায় ত্রাণ নিয়ে হাজির প্রশাসন * সাত বছর পর পরিবারের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া * মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শতাধিক মৃত্যুর আশঙ্কা * আগামীকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২ ঘণ্টার লেনদেন

হাইকোর্টের রুল: সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না

repoter

প্রকাশিত: ০৯:৫৭:৩৭অপরাহ্ন , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৯:৫৭:৩৭অপরাহ্ন , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্ট সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব এবং জাতীয় সংসদের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনী আনা হয়, যার মাধ্যমে সংসদীয় শাসনপদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনপদ্ধতি চালু করা হয় এবং একদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে চতুর্থ সংশোধনী আইন পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও শাসন কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর প্রতি বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল। এই সংশোধনী আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ চতুর্থ সংশোধনী আইনকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করার বিষয়ে রুল জারি করেছে।

এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এস এম শাহরিয়ার কবির, এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা। আদালত এখন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জাতীয় সংসদের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলেছে।

১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনী বাংলাদেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থার সূচনা করেছিল, যা গণতন্ত্রের মূলনীতি এবং দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ রয়েছে। রিটে এসব বিষয় উল্লেখ করে চতুর্থ সংশোধনী আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এখন আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই আইনের বৈধতা নিয়ে তাদের মতামত জানতে চেয়েছে।

এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রশ্ন, কারণ এটি দেশের গণতন্ত্র এবং সংবিধান অনুযায়ী শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কিত মৌলিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

repoter