ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১২:৫১ মিনিট

Donik Barta

শিরোনাম:

* বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্যমাত্রা: ৪-৫ শতাংশে নামানো হবে * কারামুক্ত হলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার * জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার * চীনকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২১ হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিহাস * ইমাম হোসেন তাঈম হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি গ্রেপ্তার * অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে ধৈর্যের সঙ্গে লড়াই করতে হবে: তারেক রহমান * বিপিএল থিম সংয়ের কিছু লাইন লিখেছেন ড. ইউনূস * ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে একচুলও ছাড় নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্র প্রতিবাদ * দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি * জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

হাইকোর্টের রুল: সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না

repoter

প্রকাশিত: ০৯:৫৭:৩৭অপরাহ্ন , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০৯:৫৭:৩৭অপরাহ্ন , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্ট সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব এবং জাতীয় সংসদের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনী আনা হয়, যার মাধ্যমে সংসদীয় শাসনপদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনপদ্ধতি চালু করা হয় এবং একদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে চতুর্থ সংশোধনী আইন পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও শাসন কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর প্রতি বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল। এই সংশোধনী আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ চতুর্থ সংশোধনী আইনকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করার বিষয়ে রুল জারি করেছে।

এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এস এম শাহরিয়ার কবির, এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা। আদালত এখন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জাতীয় সংসদের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলেছে।

১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনী বাংলাদেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থার সূচনা করেছিল, যা গণতন্ত্রের মূলনীতি এবং দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ রয়েছে। রিটে এসব বিষয় উল্লেখ করে চতুর্থ সংশোধনী আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এখন আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই আইনের বৈধতা নিয়ে তাদের মতামত জানতে চেয়েছে।

এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রশ্ন, কারণ এটি দেশের গণতন্ত্র এবং সংবিধান অনুযায়ী শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কিত মৌলিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

repoter