
ছবি: ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ সোমবার দুপুরে গণহত্যা এবং গুমের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ ও কল রেকর্ড প্রসঙ্গে কথা বলেছেন প্রসিকিউটররা। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের সময়ের বিভিন্ন কল রেকর্ড তাদের হাতে এসেছে, যা শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততা নির্দেশ করে। একই সঙ্গে গুমের ঘটনায়ও গুরুত্বপূর্ণ আলামত পাওয়া গেছে।
প্রসিকিউটর তানভীর জ্বোহা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গুমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা এই ঘটনার তদন্তকে আরও গভীর করবে। তিনি বলেন, এই তথ্যপ্রমাণ হত্যাকাণ্ডের আলামত গায়েব করার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
তবে ট্রাইব্যুনালে এই বিষয়ে তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন প্রসিকিউটররা। তারা জানান, কিছু নির্দিষ্ট সংস্থা এবং ব্যক্তি এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা না করে বিষয়টি জটিল করে তুলছে। প্রসিকিউটররা আরও জানান, তথ্যপ্রমাণ এবং আলামত গোপন করার চেষ্টা করা হলেও সেগুলোর একটি বড় অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
প্রসিকিউটররা বিশ্বাস করেন, তাদের হাতে থাকা তথ্যপ্রমাণ যথাযথভাবে আদালতে উপস্থাপন করা গেলে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। তবে তথ্য প্রদানে যেসব অসহযোগিতা চলছে, তা তদন্তের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই অসহযোগিতার কারণে তদন্তের গতি কিছুটা কমে গেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
গণহত্যা ও গুমের ঘটনা তদন্তে নতুন পাওয়া এই তথ্যপ্রমাণের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রসিকিউটর তানভীর জ্বোহা বলেন, "এই ঘটনার পেছনে যেসব ব্যক্তি ও সংস্থা রয়েছে, তাদের ভূমিকা প্রমাণ করতে আমরা আরও দৃঢ় অবস্থানে রয়েছি। তবে আমরা আশা করছি, যেসব সংস্থা এবং ব্যক্তি এখনো সহযোগিতা করছে না, তারা দ্রুত এই তদন্তে সহায়তা করবে।"
তিনি আরও বলেন, "এই তথ্যগুলো শুধু তদন্তকে নয়, পুরো বিচারপ্রক্রিয়াকে একটি নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাবে। আমরা মনে করি, এই গণহত্যা ও গুমের ঘটনাগুলোর পেছনে যেসব পরিকল্পনা ছিল, তা প্রকাশের জন্য এসব আলামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
তদন্ত প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রসিকিউটররা সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তবে তারা একই সঙ্গে সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন।
repoter