ছবি: ফাইল ছবি
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান অবতরণে সমস্যা এড়াতে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এখন থেকে জরুরি প্রয়োজনে ফ্লাইটগুলো চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনকালে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘আগে ঘন কুয়াশার কারণে বিমান ঢাকায় অবতরণ করতে না পারলে বিদেশের কোনো বিমানবন্দরে নিতে হতো। নতুন সিদ্ধান্তে এই সমস্যা মেটানো সম্ভব হবে, কারণ ফ্লাইটগুলো দেশের ভেতরেই অবতরণ করতে পারবে।’’
বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, সপ্তাহে চারদিন শাহ আমানত বিমানবন্দর এবং বাকি তিনদিন সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। এর মাধ্যমে ঘন কুয়াশার সময় বিমান চলাচলে যেকোনো ধরনের বিঘ্ন এড়ানো যাবে।
চট্টগ্রামে পরিদর্শনের সময় তিনি শাহ আমানত বিমানবন্দরের বিভিন্ন অংশ, যেমন যাত্রী প্রান্তিক ভবন, যাত্রী লাউঞ্জ, রানওয়ে, অ্যাপ্রোন, নতুন বোর্ডিং ব্রিজ, শিশু পার্ক, ড্রাইভওয়ে এবং চলমান অন্যান্য প্রকল্পের অগ্রগতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় প্রকল্পগুলোর অগ্রগতিতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পরিদর্শনে বেবিচকের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর আবু সাঈদ মেহবুব খান, সদস্য (অর্থ) এস এম লাবলুর রহমান এবং শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর।
অন্যদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়। সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ওইদিন সকালে দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৫০ মিটার, যেখানে বিমান চলাচলের জন্য কমপক্ষে দুই হাজার মিটার ভিজিবিলিটি প্রয়োজন। ফলে বিমান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে এবং যাত্রীরা দীর্ঘ সময় রানওয়েতে অপেক্ষা করতে বাধ্য হন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভোররাত থেকেই কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। ওই সময় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেবিচক কুয়াশা মোকাবিলায় বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
repoter