
ছবি: ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি, যা দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ইতি টানার আশার আলো দেখাচ্ছে। স্থানীয় সময় রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
যদিও যুদ্ধবিরতি সকাল ১০টায় কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, তবে এক ঘণ্টা বিলম্ব ঘটে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে হামাসকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুক্তি দেওয়া জিম্মি ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
হামাস জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশে ‘কারিগরি সমস্যার’ কারণে দেরি হয়েছে। ইসরায়েল স্পষ্ট করে জানায়, হামাসের পক্ষ থেকে তালিকা হাতে পাওয়ার আগে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। পরে হামাস তিনজন নারী জিম্মির নাম প্রকাশ করে। তারা হলেন রোমি গোনেন, এমিলি দামানি এবং দোরোন স্টেনব্রিচার।
ইসরায়েল নিশ্চিত করে যে, এই তিনজন নারীকে প্রথম ধাপে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এরপর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সকাল ১১টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেয়।
গতকাল শনিবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে। তিন ধাপে কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে চুক্তিটির। প্রথম ধাপে, তিনজন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৭৩৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে। এদের অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ছিলেন।
গাজায় এই চুক্তির মধ্যস্থতা করেছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসর। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এই যুদ্ধবিরতির আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে।
১৫ মাসের এই সংঘাতে গাজায় প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে অবশেষে গাজা ও ইসরায়েলের জনগণের জন্য শান্তির আশা জাগিয়েছে।
repoter